পাতা:কৈসার-অন্তঃপুর রহস্য - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/১২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

बछे अक्षाश ' কৈসার তঁহার সচিবগণকে সাধারণ ভৃত্য ভিন্ন অন্য কিছু মনে করেন না, তঁহাদের প্রতি র্তাহার ব্যবহারও সেইরূপ। তিনি তঁহাদিগকে নিতান্ত “আনাড়ি’ মনে করেন ; এমন কি, ইউরোপের সর্বশ্রেষ্ঠ ও সৰ্ব্বজনসম্মানিত বৃদ্ধ মন্ত্রী বিসমার্ককে পৰ্যন্ত তিনি এই বিশেষণে অভিহিত করিয়াছিলেন -বিসমার্ককে তিনি তঁহার পিতামহের “Hand langer” অৰ্থাৎ “আনাড়ি নুড়কোত” বলিয়া সম্মানিত করি।-- তেন ! কৈসার একবার প্রধান অমাত্য প্ৰিন্স হোহেনলোহেকে আদেশ করেন—তিনি প্ৰত্যুষে সাতটার সময় রেলের গাড়ীর কামরায় আসিয়া তাহার বক্তব্য শুনিয়া যাইবেন। প্রিন্স হোহেনলোহে কৈসারের সচিব হইলেও তঁহার গুরুজন । তখন তঁাহার বয়স আটাত্তর বৎসর।-ডিসেম্বর মাসের হাড়-ভাঙ্গা শীতে প্ৰভাতে সাতটার সময় বৃদ্ধ মন্ত্রী কঁাপিতে কঁাপিতে আসিয়া রেলষ্টেসনে চা-পান নিরত কৈসারের আদেশ শ্রবণ করিবেন,-এরূপ আশা করা অন্য কেহ অসঙ্গত মনে করিলেও কৈসার তাহা সঙ্গতই মনে করিয়াছিলেন ; কারণ গুরুজন হইলেও তিনি ভৃত্য মাত্ৰ ! যাহা হউক, বৃদ্ধ যথাসময়ে কৈসারের সহিত দেখা করিতে আসিলেন না ; ষ্টেসনে ট্ৰেণ প্ৰস্তুত, কৈসার গরম গরম চা খাইতেছেন, এমন সময়ে কৈসারের ট্রােভলিং' মাসল কাউণ্ট পুকলার তঁহাকে বলিলেন, “মাদাম প্রিন্সেস (প্রিন্স হোহেনলোহের পত্নী) সম্রাটের সহিত সাক্ষাতের আশায় সেলুন গাড়ীতে অপেক্ষা করিতেছেন।” কৈসার জিজ্ঞাসা করিলেন, “প্রিন্সেস হোহেনলোহে!—তবে কি আমার মন্ত্রী অসুস্থ হইয়াছেন ? এ সময় তাহার অসুখ হইলে ত বড় মুস্কিলের কথা ।”-কৈসার ব্যগ্ৰভাবে অগ্রসর হইয়া প্ৰিন্স