পাতা:কৈসার-অন্তঃপুর রহস্য - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/১৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কৈসার-অন্তঃপুর রহস্য و(S\( বিভাগের আফিসে, কখন মন্ত্রণা-সভার গৃহে, কখন সচিবগণের খাসি-কামরায় ছুটিাছুটি করেন।-কৈসার যখন নিউয়েস প্রাসাদে অবস্থিতি করেন।--সেই সময় মন্ত্রীগণের ব্যস্ততার সীমা থাকে না । এই জন্য একজন রসিক দরবারী রহস্য করিয়া বলিয়াছিলেন, “কোনও মন্ত্রীকে যদি প্ৰতিপন্ন করিতে হয় যে-তিনি খুব কাজের লোক ; তাহা হইলে তঁহার কাণ রাখিতে হইবে টেলিফোর কলে, এক চোখ রাখিতে হইবে ঘড়ির দিকে, আর অন্য চক্ষুটি থাকিবে টাইম টেবলে।”— শীতকালে অধিক শীতে কৈসারের কৰ্ণপীড়া বৰ্দ্ধিত হয়। সে সময় তিনি বাহিরে না গিয়া নিউয়েন্স প্রাসাদে বসিয়া কাজকৰ্ম্ম করেন, সুতরাং বিভিন্ন বিভাগের সচিবগণকে তখন উৎকৰ্ণ হইয়া বসিয়া থাকিতে হয়,- সম্রাট কখন কোন কাজে কাহাকে আহবান করেন। কৈসার অনেক সময় “ওয়াইল্ড পার্ক” রেল ষ্টেসনে তঁহার অমাতাদের ডাকিয়া পাঠান। তাহারা যথাযোগ্য পরিচ্ছদে সজ্জিত হইয়া কাগজের স্তুপ সঙ্গে লইয়া সেখানে তাড়াতাড়ি উপস্থিত হইয়া শুনিতে পান,— সম্রাটের খেয়াল অন্য দিকে গিয়াছে,-তিনি কাৰ্য্যান্তরে প্রস্থান করি।-- য়াছেন ; পাঁচ সাত ঘণ্টা পরে ফিরিয়া আসিবেন । সুতরাং অমাত্যগণকে অগত্যা গৃহে প্ৰত্যাগমন করিতে হয়। কয়েক ঘণ্টা পরে অন্য স্থান হইতে সম্রাট পুনৰ্ব্বার তাহাদিগকে ডাকিয়া পাঠান। আবার কোনও দিন থিয়েটার বা কোনও ভোজের মজলিস হইতে প্ৰত্যাগমনকালে সম্রাট তাহাদিগকে তঁহার সহিত সাক্ষাৎ করিতে আদেশ করেন, এবং ট্ৰেণে বসিয়া তাহাদিগের বক্তব্য শ্ৰবণ করেন ; তখন হয় তা রাত্রি এগারটা ! মন্ত্রীর কথা শুনিতে শুনিতে তাহার নিদ্ৰাকর্ষণ হয়, কিন্তু তিনি সেই অবস্থায় ‘হু” দিতে ছাড়েন না । তাহার পর ট্ৰেণ থামিলে তিনি চক্ষু রাগড়াইয়া বলেন, “তোমার সকল কথা শুনিয়াছি, তুমি সঙ্গত