পাতা:কৈসার-অন্তঃপুর রহস্য - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/১৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

δ.88 কৈসার-অন্তঃপুর রহস্য তাহা হইলে কি এই অস্তুজগুলা ভগবদানুগৃহীত মহাপুরুষের বিরুদ্ধে অবজ্ঞা ভরে কোনও কথা বলিতে সাহস করিত ? তুমি নিশ্চয় জানিও, যে দিন আমি আমার মন্ত্রীর পদে প্রতিষ্ঠিত করিবার জন্য কোনও খাটি মানুষের সন্ধান পাইব, সেই দিনই আমি তাহাকে দিয়া এমন “বিল” প্ৰস্তুত করাইব,--যাহার বলে এই সকল বিশ্বাস ঘাতকের দণ্ডের পরিমাণ বদ্ধিত হইতে পারে।” কৈসারের শ্ৰীমুখের উক্তি শুনিয়া হের ভন লেভেটজো সেই হতভাগিনী রমণীর পক্ষে আর কোনও কথা বলা দূরে থাক, কোনও প্রকারে পলায়ন করিয়া নিস্কৃতি লাভ করিলেন । মিউনিকের রাজা দ্বিতীয় লডউইগ তাহার রাজত্ব-কালের শেষ দুই বৎসর কাল ক্ষিপ্ত হইয়া রাজভক্তিহীনতার অভিযোগে প্ৰজাগণকে যে ভাবে দণ্ডিত করিতেন, তাহাও এই প্রসঙ্গে উল্লেখযোগ্য। এক দিন তিনি কল্পনা করিলেন, তিনি মানুষ নহেন, ঘোটক ! যেমন এই কথা তাহার মনে উদিত হওয়া, আমনই তিনি উবু হইয়া হাতে-পায়ে ভর দিয়া লাইব্রেরী-কক্ষের চারি দিকে ছুটাছুটি করিতে লাগিলেন; সঙ্গে সঙ্গে অশ্বের বিকট হোষারব ! কয়েকজন ভৃত্য র্তাহার ভাব দেখিয়া হাস্য সংবরণ করিতে পারিল না।--তাহাদের রাজভক্তিহীনতায় ক্রুদ্ধ হইয়া লাডউইগ। বেত্ৰাঘাতে তাহদের প্রাণ সংহার করিলেন । আর এক দিন তিনি তঁহার রাজস্ব-সচিবকে আদেশ করেন, তাহার। “পরিদুর্গ’ (Fairy castle ) নিৰ্ম্মাণ শেষ করিবার জন্য অবিলম্বে দুই কোটী টাকা আনিয়া দিতে হইবে। রাজস্ব সচিব তাহার এই আদেশ পালনে অসম্মত হইলে, তিনি “তঁহার উভয় চক্ষু উৎপাটিত করিবার ব্যবস্থা করেন। একজন এডজুটাণ্ট র্তাহার অবাধ্য হওয়ায় তিনি তাঁহাকে ভূগর্ভস্থিত একটি ক্ষুদ্র কক্ষে অবরুদ্ধ করিয়া অনাহারে হত্যা করিবার আদেশ প্ৰদান করেন।