পাতা:কৈসার-অন্তঃপুর রহস্য - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/১৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

बळे यथांश S8 পুনঃ পুনঃ বলিতেছি, এই চাকর গুলা আমার চক্ষুশূল; তাহাদিগকে আমার দৃষ্টির বহির্ভূত রাখাই তোমার কৰ্ত্তব্য।” এন নামী একটি বৃদ্ধ পরিচারিকার উপর কাঠ বহিবার ভার ছিল। এক দিন সকালে সে সম্রাটের প্রাসাদ-কক্ষে এক অ্যাটি শুষ্ক কাঠ লইয়া ঘাইতে যাইতে দেখিল, অন্য একটি কক্ষের দ্বার অৰ্দ্ধোন্মুক্ত রহিয়াছে ; এবং কৈসার সেই কক্ষে তাহার ডেক্সের সম্মুখে বসিয়া সংবাদ-পত্ৰ পাঠ করিতেছেন। এনা। তাহাকে দেখিয়া ‘ন যযৌ ন তন্থেী’-ভাবে সেই খানে দাড়াইয়া রহিল, তাহার পা উঠিল না ; সে বদ্ধদৃষ্টিতে সম্রাটের দিকে চাহিয়া রহিল! তাহার পর সে যখন বুঝিল, এই ভাবে অধিকক্ষণ থাকিলে যদি সম্রাট হঠাৎ তাহার দিকে দৃষ্টিপাত করেন, তাহা হইলেই ত সৰ্ব্বনাশ ! --তখন সে কোনও-মতে সেখান হইতে পলায়ন করিয়া প্রাণরক্ষা করিল। কিছুক্ষণ পরে সে তাহার একজন সঙ্গিনীর নিকট এই বিভ্রাটের গল্প বলিতেছে, এমন সময় কোট মাসলের আফিস হইতে একজন সেক্রেটারী সেই স্থানে উপস্থিত হইলেন ; তিনি জিজ্ঞাসা করিলেন, “আজি সকালে কোন দাসী সম্রাটের কক্ষে কাজ করিতে গিয়াছিল ?” এন সভয়ে অঙ্কুট স্বরে বলিল, “আমিই গিয়াছিলাম।” সেক্রেটারী বলিলেন, “তবে তুমি তোমার জিনিস-পত্ৰ লইয়া এখান হইতে সরিয়া পড় ; প্রাসাদে তোমার আর স্থান যাই। সম্রাটের কক্ষ গোয়েন্দাগিরি করিবার স্থান নহে।” এনার চাকরী গেল ; মহিষী তখন দয়াপরবশ হইয়া স্থানান্তরে এই সত্তর বৎসর বয়সের বুড়ীর একটা চাকরী জুটাইয়া দিলেন ; न्डूबों অনাহারেই তাহার। প্ৰাণ যাইত । যাহা হউক, এক দিন কৈসার একটা অৰ্দ্ধ দগ্ধ চুরুটের সন্ধান না।