পাতা:কৈসার-অন্তঃপুর রহস্য - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/১৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

d) Got R কৈসার-অন্তঃপুর রহস্য সন্ত্রান্ত-বংশীয় যুবক যুবতী। অভিনেত্রীগণের মধ্যে একজনের নাম ছিল, ফ্রলিন লিণ্ডনার। রিহাসালের সময় এই যুবতী তাহার পাঠ মুখস্থ বলিতে গিয়া একদিন হাসিয়া ফেলিয়াছিলেন ; ইহাতে সম্রাট অত্যন্ত ক্রুদ্ধ হইয়া তঁহাকে বলিলেন “ফ্রলিন লিণ্ডনার! তুমি ঐ হাসিটুকুতেই আমার সমস্ত নাটকখানা মাটী করিবে দেখিতেছি! তুমি যাহার ভূমিকা গ্ৰহণ করিয়াছ, সে হাসিবার পাত্ৰী নহে ; সে গম্ভীর, অত্যন্ত রুক্ষ-প্ৰকৃতিসম্পন্ন (tragic almost); এই ‘অংশ’ কিরূপ ভঙ্গীতে अडिमत्र করিতে হইবে তাহা যদি না বুঝিয়া থাক, তবে আমার মুখের দিকে দৃষ্টিপাত কর, এই ভঙ্গীটি আমার মুখে অঙ্কিত দেখিতে পাইবে। তাহা হইলেই তোমার অভিনয় নির্দোষ হইবে। আর তোমার পোষাক গলা হইতে পা পৰ্য্যন্ত বন্ধনহীন ভাবে বুলিতে থাকিবে ; তোমার ‘কসে টু”-অর্ণাটা চলিবে না, কোমরেও কোন বন্ধন থাকিবে না ; তোমার চিন্তাম্রোতের ন্যায় পরিচ্ছদও বন্ধনহীন হওয়া চাই।” রিহাসালের স্থানে মেনিঙ্গেনের প্রিন্সেস ফিয়োডোর উপস্থিত ছিলেন ; তিনি বড়ই রসিক । কৈসারের কথা শুনিয়া তিনি একটা ময়দার মুখঅ্যাটা বস্তার দিকে অঙ্গুলি নির্দেশ করিয়া বলিলেন, “এরকম পোষাক পর চাই, যেন দেখিতে ঠিক ঐ রকম হয়!”-প্রিন্সেসের এই বিদ্রপে কৈসার অতি কষ্টে ক্ৰোধ সংবরণ করিয়াছিলেন । যাহা হউক, ‘রিহাসােল’ শেষ হইলে মহা সমারোহে এই নাটকের অভিনয় আরম্ভ হইল। কৈসার এই নাটকের অভিনয় দেখিবার জন্য এক হাজার সন্ত্রান্ত ব্যক্তিকে নিমন্ত্রিত করিয়াছিলেন । কিন্তু তাহাদিগকে টাকা দিয়া টিকিট কিনিতে হইয়াছিল!-নাটকের অৰ্দ্ধাংশের অভিনয় শেষ হইবার পূর্বেই সাড়ে সাত শত দর্শক রঙ্গালয় হইতে চম্পট দান করিলেন! অভিনয়ের পর চারিদিক হইতে নাটকের বিরুদ্ধ সমালোচনা প্ৰকাশিত