পাতা:কৈসার-অন্তঃপুর রহস্য - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/১৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

९dन् रू; لار د( দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করিয়া দেখিতে পাইলেন, মহারাণী ভিক্টোরিয়া মহিষীকে যে হীরক-হার উপহার দিয়াছিলেন, তাহা মহিষীর কণ্ঠে নাই !-কৈসার সক্রোধে মহিষীকে জিজ্ঞাসা করিলেন, “হারগাছটা কোথায় ফেলিলে ?—শেষে তুমি তোমার মাথার মুকুটখানাও কোথায় স্থারাইয়া ফেলিবে, আর আমাকে সেই ক্ষতিপূরণ করিতে হইবে।” কৈসারের এ কথা বলিবার অর্থ এই যে, এই মুকুট ও অন্যান্য রাজকীয় অলঙ্কার মহিষীর ব্যক্তিগত সম্পত্তি নহে ; যিনি যখন মহিষী৷ হন, তিনি তখন তাহা ব্যবহার করেন মাত্ৰ,-তাহার তাহা দান বিক্রয় বা কোনরূপে নষ্ট করিবার অধিকার নাই। কোনও কারণে তাহা নষ্ট হইলে, তিনি সেই ক্ষতি পূরণে বাধ্য। যাহা হউক, কৈসারের কথা শুনিয়া মহিষী বলিলেন, “হারছড়াটা কোথায় পড়িয়াছে, fFRC- ises Vf SFICE (Frau Von Haake) উহা আমার গলায় পরাইয়া দিয়াছিল।” কৈসার সক্রোধে গর্জন করিয়া বলিলেন, “কি ? হাকে উহা তোমার গলায় পরাইয়াছিল । আচ্ছা, তাহাকে ইহার প্রতিফল দেওয়ার ব্যবস্থা করিতেছি ।” কৈসার তৎক্ষণাৎ সেই প্যারেড ক্ষেত্ৰ হইতে সক্রোধে বহির্গত হইয়া নিরপরাধ হাকেকে দণ্ড দানের জন্য ধাবিত হইলেন ! হাকের অদৃষ্ট কি ঘটিল,—তাহার উল্লেখ নাই। কিন্তু সম্রাটের এরূপ অসহিষ্ণুতার পরিচয় ইউরোপের ইতিহাসে নূতন নহে। কথিত আছে, রুসিয়ার সম্রাট পল কোনও একজন সেনানীর প্রতি বিরক্ত হইয়া তাহাকে বেত্ৰাঘাত করিবার জন্য একবার বেত্ৰ-হস্তে অৰ্দ্ধ ক্রোশ পথ দৌড়াইয়া গিয়াছিলেন "-এই অপরূপ খেয়ালের জন্য সম্রাট পলিকে অনেকে ক্ষিপ্ত মনে করিতেন । কিন্তু কৈসার উইলহেমকে ক্ষিপ্ত মনে করিবার কোনও কারণ নাই; যেহেতু