পাতা:কৈসার-অন্তঃপুর রহস্য - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/১৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সপ্তম অধ্যায় S)\\ጋፃ কক্ষ হইতে সেগুলি অপসারিত করিয়াছিলেন ; কিন্তু মহিষী ইহার কারণ জানিতেন না, সুতরাং সম্রাট-কক্ষের শোভাকর সামগ্ৰীগুলি স্থানান্তরিত হওয়ায় তঁহার বিস্ময়ের সীমা ছিল না ! যে সকল সন্ত্রান্ত মহিলার হাত দু’খনি সুন্দর নহে,-কৈসার তঁহাদিগকে দেখিতে পারেন না ; এমন কি, বিশেষ পরিচিত রমণীগণকেও তিনি উপেক্ষা করেন। কিন্তু যাহার . সুগঠিত সুন্দর অঙ্গুলী দেখিতে পান,-তাহার হস্ত পুনঃ পুনঃ চুম্বন করিতেও কুষ্ঠিত হন না ! কাহারও সুন্দর অঙ্গুলীতে যদি তিনি অঙ্গুরী দেখিতে পান,-তাহা হইলে তিনি ' তাহার অনুরূপ অঙ্গুরী ব্যবহার করেন। এই কারণে কৈসারের অঙ্গুলীগুলিতে সর্বদা একরাশি অঙ্গুরীয়ক দেখিতে পাওয়া যায়। জৰ্ম্মান রাজ-দরবারের দস্তুর অনুসারে প্রত্যেক দরবারীকে দস্তান পরিয়া দরবারে উপস্থিত থাকিতে হয়। জৰ্ম্মান সম্রাট-মহিষীর অঙ্গুলীগুলি সুগঠিত ও সুদৃশ্য নহে বলিয়া, বিশেষতঃ, কৈসার সুগঠিত কর-পল্লবের অত্যন্ত পক্ষপাতী বলিয়া মহিলাগণ যাহাতে এই নিয়মের ব্যতিক্রম না করেন, তদ্বিষয়ে মহিষী যৎপরোনাস্তি সতর্ক । “কিন্তু নাচের বা গানের পর আহারের সময় কৈসারের আদেশে কোন কোন মহিলাকে হাত হইতে দস্তানা খুলিয়া ফ্লেলিতে হয়। যাহাঁদের সুন্দর হাত, কৈসার কখন কখন তাহাদিগকে বহুমূল্য উপঢৌকন প্রদানে আপ্যায়িত করিয়া থাকেন। যখন কোনও যুবতীকে সম্মানিত করিবার অভিপ্ৰায়ে সম্রাটদরবার হইতে ‘ব্রুচা’ বা ‘ব্রেষ্ট-পিনী উপহার প্রদান করা হয়,--তখন সম্রাট সাধারণতঃ স্বয়ং তাহ পরাইয়া দেন না ; কিন্তু যখন কোনও যুবতীর কর-কমলে বলয় (ব্রেসলেট ) বা অঙ্গুরী পরাইয়া দেওয়ার আবশ্যক হয়, তখন তিনি স্বয়ং সেই কাৰ্য্য সম্পন্ন করেন। জৰ্ম্মান সাম্রাজ্যের কোনও সন্ত্রান্ত মহিলা কৈসার-কর্তৃক এই