পাতা:কৈসার-অন্তঃপুর রহস্য - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/১৬২

কৈসার-অন্তঃপুর রহস্য حb\ ভাবে সম্মানিত হইবার যে বিবরণ লিপিবদ্ধ করিয়াছেন, তাহা অত্যন্ত কৌতুহলোদ্দীপক ; আমরা সেই মহিলাটির লিখিত বৰ্ণনা নিম্নে প্ৰকাশিত করিলাম । “সম্রাট আমাকে আদেশ করিলেন, নির্দিষ্ট দিন বেলা দুই ঘটিকার সময় আমাকে তঁহার প্রাসাদে উপস্থিত হইতে হইবে। সম্রাট আমাকে অবগুণ্ঠনাবৃত হইয়া প্রাসাদে যাইতে অগ্নিদেশ করেন ; অন্য লোকে আমাকে দেখিলে চিনিতে না পারে,-এই উদ্দেশ্যেই বোধ হয় আমাকে অবগুণ্ঠনাবৃত হইয়া যাইবার আদেশ হইয়াছিল। “আমি সম্রাটের খাসি-কামরায় উপস্থিত হইয়া দেখিলাম, তিনি সেই কক্ষের ঠিক মধ্যস্থলে দণ্ডায়মান আছেন। সাধারণতঃ তঁাহার g DDD DD BB DDSDBDB BB BD DDBDBDB BDO BBBDBDu BBD দেখিয়াছিলাম। তিনি আমাকে দেখিয়াই বলিলেন, “তোমার অবগুণ্ঠন ও কোটি খুলিয়া ফেলি।”—এই আদেশ প্ৰদান করিয়া তিনি অধীর ভাবে প্ৰতীক্ষা করিতে লাগিলেন। আমি একটি সুদীর্ঘ লেস-শোভিত। জামা পরিয়া গিয়াছিলাম। আমি আমার হাত হইতে দস্তানা খুলিয়া ফেলিলে, তিনি আমার হাত দু’খানি দেখিয়া বলিলেন, “বড় সুন্দর তা!—” অনন্তর তিনি সেই কক্ষের একটি কোণ হইতে একটি বাক্স লইয়া আসিলেন। বাক্সটি প্ৰকাণ্ড, উহা হীরকালঙ্কারের বাক্স, তাহা দেখিয়াই বুঝিতে পারিলাম। এই বাক্সটি খুলিয়া তিনি একটি ব্রেসলেট বাহির করিলেন ; ব্রেসলেটটি দেখিতে সাপের মত । তিনি উহা লম্বা করিয়া আমার মণিবন্ধে জড়াইয়া দিলেন। তাহা জড়াইতে জড়াইতে আমার বাহুমূল পৰ্যন্ত উঠিল। আমি কৈসারকে ধন্যবাদ করিলে তিনি আমার হাতে পুনঃপুনঃ চুম্বন করিতে লাগিলেন। চুম্বনের সময় তিনি একবারও আমার কনিষ্ঠাঙ্গুলী ছাড়িয়া দেন নাই!”