পাতা:কৈসার-অন্তঃপুর রহস্য - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/১৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অষ্টম অধ্যায়। কৈসর-মহিষী প্ৰভুত্বানুরাগিনী হইলেও তাঁহার সহচরীবৃন্দ কখন কখন যথেষ্ট স্বাধীনচিত্তের পরিচয় প্ৰদান করেন ; ইহাতে তিনি বিরক্ত হন বটে, কিন্তু অধিকাংশ সময় সে বিরাগ মুখে প্ৰকাশ করেন না । কিছু দিন পূর্বে বার্লিনস্থিত মার্কিন রাজদূত স্বৰ্গীয় উইলিয়াম ওয়ালটার ফেলপস নিউয়েস প্রাসাদে মহিষীর সহিত সাক্ষাৎ: করিতে গিয়াছিলেন ; মহিষী কথাপ্রসঙ্গে তঁহাকে বলেন, “আমার ছোট ছেলেটিকে দেখিবেন কি ?” মিঃ ফেলপস সন্মতি জ্ঞাপন করিলে—মহিষী একজন সহচরীকে আদেশ করিলেন, “খোকা রাজকুমারকে লইয়া এসো !” সহচরী যথারীতি কুর্ণিস করিয়া বলিলেন, “সাম্রাজ্ঞী, খোকা রাজকুমার মিনিট-দুই পুর্বে র্তাহার ধাত্রীর সহিত বেড়াইতে বাহির হইয়াছেন।” মহিষী বলিলেন, “কাউণ্টেস, তোমার কথা অসম্ভব ! আমি মিসেস । ম্যাচামকে স্পষ্ট করিয়া বলিয়া দিয়াছি,-জলযোগের পূর্বে কদাচি যেন সে বাহিরে না যায় ।” সহচরী এ কথা শুনিয়া ধাত্রীর সন্ধানে চলিলেন ; কিন্তু অল্পক্ষিণ পরে তিনি মহিষী-সকাশে প্ৰত্যাগমন করিয়া বলিলেন, “ধাত্রী ঘরে नाझे ; ख्षांभांब्र কথাই ঠিক ।” মহিষী বলিলেন, “কি ! ধাত্রী আমার আদেশ লঙ্ঘন করিয়াছে ? ইহার কারণ কি ?” সহচরী বলিলেন, “সাম্রাজ্ঞী, ধাত্রী কাউণ্টেস ব্ৰকডাফকে বলিয়া