পাতা:কৈসার-অন্তঃপুর রহস্য - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/১৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অষ্টম অধ্যায়৷ ” । Y AY গিয়াছে,-খােকা রাজকুমারকে লইয়া বাহিরে যাইবার পক্ষে কোন সময়টি প্রশস্ত, তাহা তাহার বেশ জানা আছে।” মহিষী একথা শুনিয়া উহা গোপন করিয়া সহাস্তে মিঃ ফেলপসকে বলিলেন, “দূত মহাশয়, দাসদাসীদের ব্যবহার সর্বত্র একরূপ। প্ৰত্যেক পরিবারে, তাহারাই আসল মনিব। আপনি খোকা রাজকুমাকে দেখিবার ইচ্ছা করিলে মিসেস ম্যাচামের সুবিধার উপর নির্ভর করা ভিন্ন উপায় নাই।” মহিষী মৃগয়া করিতে বড় ভালবাসেন। তিনি সাধারণতঃ কৃষ্ণবর্ণ পরিচ্ছদে সজ্জিত হইয়া একটি রেশমী “হ্যাট’ মাথায় দিয়া অশ্বারোহণে ? মৃগয়া করিতে যান। অশ্বারোহণ ও পদব্ৰজে ভ্ৰমণ ভিন্ন,তাহাকে অন্য কোনও প্ৰকার ব্যায়াম করিতে বড়-একটা দেখা যায় না । তবে বার্লিনের রাজ-প্ৰাসাদে নাচের মজলিস হইলে তিনি বৎসরে দুই একদিন নৃত্য করেন। কিন্তু মহিষী স্কুলাঙ্গী বলিয়া নৃত্যে তেমন অভ্যস্তা নহেন। তিনি নিজেও তাহা বুঝিতে পারেন ; তবে তিনি যে নৃত্যকলায় সুদক্ষা নহেন, ইহা কাহাকেও বুঝিতে দিতে চাহেন না । তিনি সমাট-মহিষী, অতএব অশ্বারোহণ, নৃত্য, সঙ্গীত প্ৰভৃতি সকল বিদ্যায় জৰ্ম্মানীর সকল রমণী অপেক্ষা সুদক্ষ হওয়া তাহার পক্ষে স্বাভাবিক ও সঙ্গত, এই ধারণা তাঁহার মনে বদ্ধমূল। কিন্তু মহিষী বলিয়াই বিধাতা যে তঁাহাকে দেশের সকল রমণী অপেক্ষা সৰ্ব্ব বিষয়ে অধিক প্ৰতিভাশালিনী করিবেন, এরূপ আশা করা অন্যায়।—এক দিন জৰ্ম্মান রাজকুমার উইলিয়াম অশ্বারোহণে অসাধারণ দক্ষতা প্ৰদৰ্শন করায়, সকলেই তাঁহার অশ্বারোহণ-নৈপুণ্যের প্রশংসা করিতেছিলেন। সেই প্ৰশংসা শুনিয়া মহিষী এডজুটাণ্ট কাউণ্ট মোলট্রিকেকে বলিয়া ছিলেন, “না হবে কেন ? আমার ছেলে বলিয়াই সে এমন পাকা ঘোড়সোয়ার হইয়াছে!”-এরূপ দম্ভ কৈসারিনেরই উপযুক্ত ।