পাতা:কৈসার-অন্তঃপুর রহস্য - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/১৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অষ্টম অধ্যায় । y AS স্বৰ্গীয় সম্রাটের সমগ্র সম্পত্তির একমাত্র উত্তরাধিকারী, এই প্রাসাদের কৰ্ম্মচারী ও পরিচারক বর্গের একমাত্ৰ প্ৰভু ; তাহারা তাহার প্রত্যেক আদেশ নতশিরে পালন করিতে বাধ্য। তাহারা অন্য কাহারও। ( অর্থাৎ তাহার জননীর ) আদেশে তাহার আদেশ লভঘন করিলে-তাহাদের मत्रत्न नाशे । এ কথা শুনিয়া কৈসার-জননী বলিলেন, “যে কোনও কৰ্ম্মচারী স্বেচ্ছায় আমার কোনও আদেশ পালনে সম্মত না হইবে, তাহাকে তৎক্ষণাৎ পদচ্যুত করা হইবে ; এবং ভবিষ্যতে সে পেন্সনের অধিকারে - বঞ্চিত হইবে।” সমাট-জননী তাহার কৰ্ম্মচারীবর্গের নামের একটি তালিকা প্ৰস্তুত করিয়াছিলেন ; তিনি আদেশ করেন, সেই সকল কৰ্ম্মচারী স্বগীয় সম্রাটের মৃতদেহ দেখিবার জন্য প্রাসাদে উপস্থিত থাকিবেন। সম্রাট-জননী র্যাহাদের শ্রদ্ধা ও বিশ্বাস করিতেন, কেবল তাঁহাদেরই নাম এই তালিকায় স্থান পাইয়াছিল। কিন্তু সম্রাট উইলহেম—সেই তালিকা গ্ৰহণপূর্বক খণ্ড খণ্ড করিলেন, এবং প্রহরীদের আদেশ দিলেন,-যে সকল সামরিক কৰ্ম্মচারী সেখানে আসিতে চান, তাহাদের সকলকেই আসিতে দেওয়া হইবে । সম্রাটের মৃত দেহ প্ৰাসাদে নিপতিত থাকিতে তাহার প্রাসাদে এরূপ ঘূণিত জঘন্য ব্যবহার পৃথিবীর কোথাও-কোনও সভ্য দেশে কোনও সমাটি-পুত্র দ্বারা সংঘটিত হইয়াছে কি না সন্দেহ ! সেই সময় হইতে জননীর মৃত্যুকাল পৰ্য্যন্ত সম্রাট উইলহেমের সহিত তাহার জননীর মনের মিলন হয় নাই। কিন্তু ইংলণ্ডের রাজনীত্যিকগণ কৈসারের এই অশিষ্টতার কথা দীর্ঘকাল স্মরণ রাখেন নাই ; তাহারা কোনও দিন কৈসারের বিরাগভাজন হইবারও চেষ্টা করেন নাই।