পাতা:কৈসার-অন্তঃপুর রহস্য - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

T. Հե কৈসার-অন্তঃপুর রহস্য সমর-বিভাগ ও জৰ্ম্মানীর অভিজাত সম্প্রদায়ের বিধাতুস্থানীয়। জৰ্ম্মানীর অভিজাতবর্গের মধ্যে র্তাহারাই সর্বশ্রেষ্ঠ-যাহাদের পিতৃপুরুষেরা ਕਭੇਚ কালে কোন-না-কোন রাজ্যের অধিপতি ছিলেন । জৰ্ম্মানীতে এরূপ বংশের সংখ্যা তিন শত । সেই সকল রাজায় রাজ্য এখন জৰ্ম্মান সাম্রাজ্যের অন্তভূক্ত হইয়াছে, রাজ-বংশধরেরা এখন পেন্সন ভোগ করিতেছেন ; তন্মধ্যে প্রায় পঞ্চাশটি পরিবার এখনও পূর্বের উপাধি ভোগ করিতেছেন, রাজ্য গিয়াছো-কিন্তু অমুক রাজ্যের “যুবরাজ” এই আখ্যায় তাহারা সম্মানিত হইতেছেন। ইহারা জৰ্ম্মানীর প্রথম শ্রেণীর “বনিয়াদী ঘর।”- ইহারা আধুনিক সম্রান্ত বণিক সম্প্রদায়ের সহিত মেলামেশা করেন না । তবে অনেকে বিষ হারাইয়া “ঢোড়া’ হইয়া কাঞ্চন-কৌলিন্যের নিকট মস্তক অবনত করিয়াছেন ; আজ্ঞাতকুলশীল ধনাঢ্য বণিকের সহিত বৈবাহিক সম্বন্ধে আবদ্ধ হইয়াছেন । কৈসার উইলিয়ামের বক্ততাশক্তি অসাধারণ ; জন্মানীতে প্ৰকৃত বাগীর সংখ্যা নিতান্ত অল্প বলিয়াই জনসাধারণ র্তাহার এই শক্তিতে অধিক মুগ্ধ।--তিনি সৰ্ব্বদাই বলিতেন, “আমি যুদ্ধের পক্ষপাতী নহি, কিন্তু যুদ্ধ বিগ্ৰহ হইতে দেশকে অব্যাহত রাখিতে হইলো অন্যের আক্রমণ প্ৰতিহত করিবার উপযুক্ত শক্তি সঞ্চয় করা আবশ্যক।”-ৰ্তাহার এই উক্তির মূলে } কি পরিমাণ সত্য আছে, তাহ পাঠক বিচার করুন। তবে একথা সত্য যে, তঁাহার এই যুক্তি অনুসারে তিনি গত পচিশ বৎসর ধরিয়া শক্তির উদ্বোধন করিয়া আসিয়াছেন। সমগ্ৰ ইউরোপের শান্তিসূত্র তিনিই আয়ত্ব করিয়া রাখিয়াছিলেন, এবং স্বীয় উদ্দেশ্য সিদ্ধির জন্য ক্রমাগত সৈন্যসংখ্যা ও যুদ্ধোপকরণ বৰ্দ্ধিত করিয়াছেন। তাই তিনি শেষ রক্ষা করিতে । পারিলেন না।-শান্তির ধ্বজা স্কন্ধে লইয়া, শান্তির মহিমা গান করিতে করিতে তিনি স্বয়ং এমন ভীষণ রণরঙ্গে অবতরণ করিলেন-যাহার