পাতা:কৈসার-অন্তঃপুর রহস্য - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8SR কৈসার-অন্তঃপুর রহস্য করিয়া তিন ‘মাৰ্ক’ হিসাবে ভিক্ষা দান করেন । এতদ্ভিন্ন প্ৰত্যেক রবিবারে ভিক্ষুকদের জন্য তিনি দাতব্য-ভাণ্ডারে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থও দান করেন । ভজনালয়ে উপস্থিত হইয়া এই টাকা দেওয়া হয় ; যত, টাকা দিতে হইবে তাহ:কৈসারের একজন কৰ্ম্মচারী তাহার শকটারোহণকালে তঁহার হস্তে প্ৰদান করেন। ভিক্ষুকেরা প্ৰাসাদসংলগ্ন আস্তাবলে আসিয়া রাজকীয় ভিক্ষার জন্য দরখাস্ত করিলে ভিক্ষা পায় । “হাইলিজার এবেণ্ডে’ অর্থাৎ খৃষ্টোৎসবের পূর্বদিন সন্ধ্যাকালে কৈসার সাধারণ ভদ্রলোকের ন্যায় পোষাক পরিয়া একাকী ভ্ৰমণে বহির্গত। হন । সেদিন তঁাহার কোনও দেহরক্ষীর বা কৰ্ম্মচারীর তঁহার সঙ্গে গমনের নিয়ম নাই। অবশ্য, পুলিসের গুপ্তচরেরা (Secret police ) তাহার গতিবিধির প্রতি লক্ষ্য রাখে, এবং তিনি যাহাতে কোনও রূপে বিপন্ন না হন।--তাহারও ব্যবস্থা করিয়া রাখা হয় । এই সময় তিনি সাধারণতঃ নগরের মধ্যেই থাকেন, এবং দরিদ্র নাগরিকগণকে কিছু কিছু অর্থদান করিয়া উৎসবে তাহাদিগকে আমোদ করিতে বলেন। এই উপলক্ষে তিনি প্ৰথম প্ৰথম দুইশত মার্কের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র স্বৰ্ণ মুদ্রা পকেটে লইয়া বাহির হইতেন। তঁহার ধনাধ্যক্ষ মেসনার একবারু বাছিয়া বাছিয়া নূতন চকচকে টাকা তাহার সঙ্গে প্ৰদান করিলে কৈসার হাসিয়া বলিয়াছিলেন, “আজি মাত্রে গরীব বেচারাদের বড়ই সৌভাগ্য দেখিতেছি! টাকাগুলি বড় সুন্দর।” ইহার একটি “ কৌতুহলোদ্দীপক গল্প আছে। বলিয়াছি, কৈসার পূৰ্ব্বে দরিদ্রদিগকে খৃষ্টমাস-উপহার স্বরূপ ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র স্বর্ণমুদ্র প্রদান করিতেন ; কিন্তু সেইবার তিনি তঁাহার কোর্ট মােসাল, কাউণ্ট ইউলেনবৰ্গকে বলেন, “মেসনারকে বলিয়া দিবে।-সোনার টাকা না দিয়া এবার যেন সে রূপার টাকা আমার সঙ্গে দেয়।” তাই মেসনার বাছিয়া,