পাতা:কৈসার-অন্তঃপুর রহস্য - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

त्रिऊँीश याशांश 88 বাছিয়া চকচকে টাকা দিয়াছিল। সোণার টাকার পরিবর্তে রূপার চকচকে টাকা পাইয়াই গরীবেরা ভুলিবে, এবং তঁহাকে দুই হাত তুলিয়া আশীৰ্ব্বাদ করিবে, এ ভরসা র্তাহার অবশ্যই ছিল।—আমরাও কি চকচকে জৰ্ম্মান পণ্যে মুগ্ধ নাহি ? যাহা হউক, সম্রাট যখন মোহরের পরিবর্তে টাকা বাহির করিবার আদেশ প্ৰদান করেন, সেই সময় সাম্রাজ্ঞী। সেখানে উপস্থিত ছিলেন ; সম্রাটের উদারতা ও মিতব্যয়িতার পরিচয় পাইয়া তিনি একটু হাসিলেন। তাহা লক্ষ্য করিয়া কৈসার বঁলিলেন, “দেখ, এই যে গরীবদের ক্ৰাউন, ডবল ক্রাউনগুলা বিতরণ করা যায়—এটা ভাল কি মন্দ, তাই ভাবিতেছিলাম। কোনও বেটা শয়তান হঠাৎ যদি সন্দেহ করিয়া বসে, • আর আমাকে সুন্দ সমেত উহা ফিরাইয়া দেয়,-তবেই দেখা কি বিভ্ৰাট ! আমি উহাদের সন্দেহের ও নিজের বিপদের মধ্যে না গিয়া সোনার পরিবর্তে রূপার টাকা দিয়াই আমার অভাবগ্ৰস্ত বন্ধুদের সাহায্য করিব।” মহিষী সমাটকে চিনিতেন, কিন্তু রসিকতার প্রলোভন সংবরণ করিতে পারিলেন না, বলিলেন, “ওঃ, তোমার কি দূরদৃষ্টি!” সাম্রাজ্ঞীর সখীরাও সেখানে ছিলেন ; কৈসারের কথা শুনিয়া কাউণ্টেন্স ভন ব্ৰকডফস অন্য একজনের কাণের কাছে বলিলেন, “সম্রাটের দূরদৃষ্টি সৰ্ব্বত্র!”—একজন কাউণ্ট সেখানে দাড়াইয়া ছিলেন ; তিনি নিম্ন স্বরে বলিলেন, “বিশেষতঃ পকেটের উপর।”-সমাট যে চকচকে টাকা গুলি এবার সঙ্গে লইয়াছিলেন, তাহা একশতও নহে, সাতাল্পটি ‘মাৰ্ক’ মাত্ৰ !-“ক্রমশঃ বিজ্ঞতম ভবতি জনঃ ” সম্রাট বাল্যকালে ইচ্ছানুরূপ অর্থ হাতে পাইতেন না,-যাহা হাতে । পাইতেন, তাহাও স্বেচ্ছানুসারে খরচ করিতে পারিতেন না ;-পূৰ্বপুরুষদিগের নিয়ম তাহার প্রতিও প্ৰযুক্ত হইয়াছিল, এবং তিনিও সেই নিয়ম