পাতা:কৈসার-অন্তঃপুর রহস্য - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*8W " কৈসার-অন্তঃপুর রহস্য রণতরী বহরের একজন অধ্যক্ষ ছিলেন ; তঁহার নাম এডমিরাল গ্রিগরোভিচ। এই রণাভিনয়ের সময় একখানি ‘কুঁজার” জাহাজ প্ৰদৰ্শিত হইয়াছিল; ক্রুজারখানি নূতন ধরণের, ইহা সাবেক ক্রুজারের উন্নত সংস্করণ। এই ক্রুজারখানির প্রতি উক্ত এডমিরালের দৃষ্টি আকৃষ্ট করিয়া কৈসার বলেন, “আমরা অর্ডার পাইলে অতি অল্প সময়ের মধ্যেই এরূপ ছয়খানি “কুজার” নিৰ্ম্মাণ করিয়া দিতে পারি। রুষিয়া যেরূপ ক্রুজার চাহেন, ইহা ঠিক সেই রকমেরই হইয়াছে।”-সেই স্থানে ইউরোপের কতিপয় প্রধান রাজ্যের নরপতিগণের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন; কৈসারের দালালীর পরিচয় পাইয়া তেঁাহারা সঙ্কোচ অনুভব করিলেও কৈসারকে বিলক্ষণ সংপ্ৰতিভ দেখা গেল । কৈসারের এই প্রকার ব্যবসায় বুদ্ধির পরিচয় পাইয়া জৰ্ম্মানীর অভিজাত সম্প্রদায় সময়ে সময়ে বিরক্ত হইয়া উঠিলেও, জনসাধারণ বেশ আমোদ উপভোগ করে ।-কৈসার এরূপ অনেক ব্যবসায়ে লিপ্ত আছেনযাহা তঁহার পক্ষে আদৌ শোভন নহে। দৃষ্টান্ত স্বরূপ তঁাহার প্রতিষ্ঠিত সরাপের ব্যবসায়ের উল্লেখ করিতে পারি। মাদক দ্রব্য গবমেণ্টের আবগারী বিভাগের তত্ত্বাবধানেই বিক্রয় হইয়া থাকে ; কিন্তু স্বয়ং তাহার ব্যবসায়ে প্ৰবৃত্ত হওয়া রাজ্যেশ্বরের শোভা পায় না। কিন্তু হামবার্গে যে ‘চোলাইখানা” (Brewery) আছে, জৰ্ম্মান সম্রাট তাহার একজন মালিক। তাহাতে র্তাহার যে অংশ আছে, তাহার। মুনাফা বাবদ তিনি প্ৰতি বৎসর তিন হাজার টাকা পান।--তঁাহার ন্যায় কোটিপতিও মদ । বিক্রয় করিয়া তিন হাজার টাকা গ্ৰহণ করিতে কুষ্ঠিত নহেন ! তঁহার বাল্যবন্ধু প্রিন্স কুয়ারাষ্টেনবর্গ জৰ্ম্মানীর একজন ধনকুবের ; মদের ভাটির কল্যাণেই তিনি কোটিপতি। তঁহার এই কারবারে কৈসারেরও অনেক টাকা খাটিতেছে। প্ৰতি বৎসর তিনি এখান হইতে বিস্তর অর্থ লাভ ዖ”, করেন ।