পাতা:কৈসার-অন্তঃপুর রহস্য - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

tR কৈসার-অন্তঃপুর রহস্য রাজপ্ৰাসাদ হইতে গোরুর গাড়ীর গাড়োয়ান-সম্প্রদায়ে পৰ্য্যন্ত সংক্রামিত হইয়াছিল ! এখন আবার দেখিতে পাই, অনেকে সাহেবী কেতায় চুল ছাঁটেন ;-অর্থাৎ মস্তকের পশ্চাতের চুল ক্ৰমশঃ খাটাে হইয়া ঘাড়ের কাছে ক্ষুরের আশ্রয় গ্ৰহণ করিয়াছে, কিন্তু সম্মুখের চুল তিন ইঞ্চি লম্বা ! সুতরাং কৈসারের অনুকরণে জৰ্ম্মান জাতি গোফকে আকাশমুখো করিবার জন্য ক্ষেপিয়া দাড়াইবে, ইহঁতে বিস্ময়ের কোনও কারণ নাই । সুযোগ বুঝিয়া বুদ্ধিমান 6श्ल शांति ‘সুরষ্কার বাইণ্ডে” K(schnurrbar binde) আবিস্কার করিলেন। এই উৎকট নামধারী জিনিসটি এক টুকরা “ক্যাম্বিস’ ভিন্ন আর কিছুই নহে। রাত্রিকালে গোফ-জোড়াটা কোনও আরোকে ভিজাইয়া, সেই ক্যাম্বিসখণ্ড ওষ্ঠের উপর দিয়া কোনও নির্দিষ্ট নিয়মে বঁাধিয়া রাখিতে হয়। হের হাবির আবিস্কৃত এই “গুম্বন্ধ-কৌপিন” হাজার হাজার টাকার বিক্রয় হইতে লাগিল। হের হাবির অবস্থা ফিরিয়া গেল। কিন্তু কিছুদিন পরে কৈসার যখন দেখিলেন, জৰ্ম্মান দেশের মেথর মুদ্দািফরাস পৰ্যন্ত তঁহার গোঁফের অনুকরণে গোফ রাখিতেছে ; তখন তিনি বিরক্ত হইয়া গোফের ডগা নিম্নাভিমুখী করিলেন, সুতরাং হের হাবির এমন লাভের ব্যবসায়টি মাটি হইল ; “গুম্ফ-কৌপিনের’ বিক্রয় বন্ধ হইয়া গেল ! যাহা হউক, কৈসারের এই নরসুন্দর-প্রবারের উদ্ভাবনী শক্তির প্ৰশংসা না করিয়া থাকা যায় না। কৈসারের দাড়ী কামাইবার সময় হের হাবি তাহার মুখমণ্ডলে অনেকক্ষণ ধরিয়া সাবান ঘাষিত, ইহাতে একদিন কৈসারের বড় রাগ হয় ; তিনি বলেন, ইহাতে তাহার অনেক সময় বৃথা নষ্ট হয়, তিনি ক্ষৌরকার্য্যে আর সাবান ব্যবহার করিবেন না। -দুইদিন পরে হের হাবি সম্রাটকে জানাইল, সে এমন সামগ্ৰী আবিস্কার করিয়াছে যে, তাহার মুখে আর সাবান ঘষিতে হইবে না ; সাবান ব্যবহার না করিয়াই