পাতা:কৈসার-অন্তঃপুর রহস্য - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় অধ্যায় (VO) সে ক্ষুরচালনের সুবিধাটুকু আয়ত্ব করিতে পারিয়াছে।--সেই দিন হইতে কৈসারের ক্ষৌরকার্য্যে। আর সাবান ব্যবহার করিতে হয় না। হের হাবির প্রতি আদেশ আছে, সে প্ৰত্যহ একবার করিয়া সম্রাটের দাড়ী কামাইবে। কিন্তু সম্রাট তাহার ক্ষৌরকার্য্যের যে সময় নির্দিষ্ট করিয়া দিয়াছেন, তাহার এক মিনিট এদিক-ওদিক হইলেই সর্বনাশ ! এক দিন হের হাবি কৈসারকে কামাইতে আসিতে কয়েক মিনিট বিলম্ব করিয়াছিল ; কৈসার তাহার কৈফিয়তে কৰ্ণপাত করিলেন না । হের হাবি সম্রাটের সুতীব্র ভৎসনারাশি পরিপাক করিয়া, কাজ শেষ করিয়া চলিয়া গেল। পর দিন সে যথাসময়ে কৈসারকে কামাইতে আসিলে, কৈসার ক্ষুর-ঘর্ষণের আরাম উপভোগ করিতে করিতে হের হাবিকে, জিজ্ঞাসা করিলেন, “আমি তোমাকে যে সোণার ঘড়িটা বখশিস দিয়াक्लिन्,-6न ५थंन& ख्ञां८छ् दि ?” হের হাবি ক্ষুর চালাইতে চালাইতে সোৎসাহে বলিল, “আছে বৈ কি ধৰ্ম্মাবতার, আমার সঙ্গেই আছে।” কৈসার বলিলেন, “ঘড়িটা কিনিবার সময় মনে হইয়াছিল উহা ঠিক সময় রাখিবে ; কিন্তু এখন দেখিতেছি, উহা তেমন ভাল নয়। তা তুমি এক কাজ করা, ঘড়িটা আমাকে ফেরত দাও।--আমি উহার বদলে তোমাকে উহা অপেক্ষা ভাল আর একটা ঘড়ি দিব ।” হের হাবি তৎক্ষণাৎ ঘড়িটি কৈসারের হস্তে প্ৰদান করিল ; তিনি তাহা অম্লানবদনে গ্ৰহণ করিয়া তাহাকে পানের ডিবার মত বৃহৎ একটা ঘড়ি দিলেন, তাহা নিকেল নিৰ্ম্মিত ; এবং তাহার মূল্য দুই মার্ক” অৰ্থাৎ দেড়টাকার অধিক নহে!-বেচার হাবি বুঝিল, পূর্বদিন কৈসারকে কামাইতে আসিতে দুই মিনিট বিলম্ব হওয়াতেই মূল্যবান ও সুদৃশ্য সোণার ঘড়ির পরিবর্তে এই ‘বে-ঢপ” পানের ডিবাট তাহার পকেট ছিড়িতে আসিল !