পাতা:কৈসার-অন্তঃপুর রহস্য - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় অধ্যায় VS বংশী সংযোজিত করা হইলে, বাঁশির সুস্বরে সম্রাটের হৃদয়-যমুনা উজানে বহিতে লাগিল । তিনি সোৎসাহে আদেশ করিলেন, “এই বঁাশির আবিস্কারককে আমার সম্মুখে উপস্থিত কর, আমি স্বহস্তে তাহাকে পুরস্কৃত করিব।” ভাগ্যবান বাদ্যযন্ত্ৰ-নিৰ্ম্মাতা কৈসার-সমীপে আনীত হইলে, সম্রাট তাহাকে পুরস্কার প্রদান করিলেন ; এবং একটি ক্ষুদ্র বক্ততার পর বলিলেন, “এই বঁাশি পাইয়া আমি এত সুখী হইয়াছি যে, তোমার প্ৰতি আমার অসামান্য অনুগ্রহের ( 8xtreme favour ) নিদৰ্শন-স্বরূপ আদেশ করিতেছি, এই বঁাশি কেবল আমার মোটর গাড়ীতেই ব্যবহৃত হইবে ; অন্যে ইহা ব্যবহার করিতে পরিবে না।”-এই ‘অসামান্য . অনুগ্রহে” বংশী-নিৰ্ম্মাতা কিরূপ আনন্দিত হইয়াছিল, তাহা বলা কঠিন। কারণ,-“কৈসার তাহার মোটর গাড়ীতে এখন এই বঁাশিই ব্যবহার করিতেছেন’, এইরূপ বিজ্ঞাপন দিয়া সে অল্প দিনেই তাহা কৈসারের গোফের মত সমগ্ৰ জৰ্ম্মানীতে সৰ্ব্বজন-সমাদৃত করিতে পারিত, এবং তাহা বিক্রয় করিয়া তাহাঁর লক্ষ লক্ষ টাকা উপাৰ্জনের সম্ভাবনা ছিল ; কিন্তু তাহার সে আশা পূর্ণ হইল না। কৈসার স্বয়ং যাহা ব্যবহার করিতেছেন, অন্য লোক তাহা ব্যবহার করিবে ? অসহ!—এইরূপ অনেক সৌখীিন সামগ্রীতেই কৈসারের একচেটিয়া অধিকার । কৈসার স্বদেশী বস্ত্ৰ ব্যবহারের পক্ষপাতী হইলেও তঁহার ‘আটপৌরে” পরিচ্ছদ লণ্ডনেই প্ৰস্তুত হইত। সেই সকল পরিচ্ছদের ছাটি-কাটের দিকে তঁস্থার বিশেষ দৃষ্টি থাকিত। তঁহার বিশ্বাস, ‘হ্যারিস টুইডে’র পরিচ্ছদই তেঁাহার অঙ্গে সর্বাপেক্ষা অধিক সুন্দর দেখায়। ‘হাম্বার্গ হাট’ নামক টুপি সম্রাট সপ্তম এডোয়ার্ডের বড় প্রিয় ছিল। তিনি এই টুপির পক্ষপাতী ছিলেন বলিয়াই ইংলণ্ডে এক সময়