পাতা:কৈসার-অন্তঃপুর রহস্য - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Գo কৈসার-অন্তঃপুর রহস্য ইহার অসাধারণ আদর হইয়াছিল। কৈসার ও এই টুপিই আটপৌরে ভাবে ব্যবহার করিতে ভালবাসিতেন। কিন্তু তঁহার ‘নেকটাই” যে কত বিভিন্ন বর্ণের ও আকারের, তাহার সংখ্যা নির্দেশ করা কঠিন । র্তাহার পরিচ্ছদ্যাগারে আঠার হাজার ‘নেকটাই’ আছে। এগুলি তিনি নিজের ব্যবহারের জন্য রাখিয়াছেন। প্ৰত্যহ দশ বার ‘নেকটাই” পরিবর্তন করিলেও সকল গুলি ব্যবহার করিতে পাঁচ বৎসর লাগে! কৈসারের প্রতিজ্ঞ, তিনি তঁহার কটদেশকে স্থল চাইতে দিবেন। না । এই প্ৰতিজ্ঞা পালন করিবার জন্য তিনি যৌবন কালে তঁাহার ব্যবহাৰ্য্য কোমরবন্ধের নির্দিষ্ট স্থানে ছিদ্র করিয়া রাখেন ; কোমরের পরিধি সেই ছিদ্রের সীমা অতিক্ৰম করিতে পারে নাই। —এখন পৰ্য্যন্ত র্তাহার এই জিদ বহাল” আছে। জৰ্ম্মানজাতি সাধারণতঃ কিছু স্কুলাঙ্গ ; কৈসার এই স্থূলতার পক্ষপাতী নহেন ; এজন্য তাঁহাকে যখন-তখন বিরক্তি প্ৰকাশ করিতে দেখা যায়। তিনি প্ৰজাবৰ্গকে বলেন, “মধ্যে মধ্যে ওজন হইয়া দেখিবে—মোটা হইতেছে কি না।”-ছাত্ৰমণ্ডলীকে তিনি সম্বোধন করিয়া বলেন, “তোমরা খুব ব্যায়াম করিবে, আর কম করিয়া বিয়ার পান করিবে।” স্ত্রী জাতিকেও তিনি অল্প পরিমাণে মিষ্টান্ন ভোজন করিতে উপদেশ দিয়া থাকেন।--কিন্তু ছাত্ৰমণ্ডলী বা রমণীসমাজ বিয়ারে বা মিষ্টান্নে বিরাগ প্ৰদৰ্শন করে নাই। কৈসার মোটা মানুষ দেখিতে না পারিলেও, প্ৰকাণ্ডাকার দ্রব্যেই তাহার অনুরাগ। তঁহার নামের কার্ড ছয় ইঞ্চি লম্বা, চারি ইঞ্চি চওড়া ! দক্ষিণ-পশ্চিম আফ্রিকায় জৰ্ম্মানীর কিঞ্চিৎ অধিকার আছে। কিছু দিন পূর্বে সেখানে একটি “মনুমেণ্ট’ স্থাপনের প্রস্তাব হইলে কৈসার বলেন, একটি হস্তীর মূৰ্ত্তি প্রতিষ্ঠিত হউক! কিন্তু স্থপতিগণ তাঁহার এই প্ৰস্তাবের