পাতা:কৈসার-অন্তঃপুর রহস্য - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় অধ্যায় G) উপযোগিতা অস্বীকার করেন।-ইহাতে ফল এই হইল যে, মনুমেণ্ট আর সেখানে নিৰ্ম্মিত হইল না । একবার কৈসার হামবার্গ নগর পরিদর্শনে গমন করিয়া তত্ৰত্য রেলষ্টেসন দেখিয়া অসন্তুষ্ট হন, কারণ ষ্টেসনটি তেমন বৃহৎ ছিল না । তিনি নগরাধ্যক্ষকে বলিলেন, “নৃতন একটা বড় ষ্টেসন চাই।”-তিনি স্বয়ং হামবার্গে উপস্থিত থাকিয়া নূতন ষ্টেসন প্ৰস্তুত করাইলেন। এরূপ বৃহৎ ও যাত্রীগণের সুবিধাজনক ষ্টেসন ইউরোপে অল্পই আছে। একজন ইংরাজ G123 car critis fat ari(PF fift:(s, " It is certainly big and convinient beyond the dreams of a traveller in Great Britain.' কলোন নগরে রাইন নদের বক্ষে যে সেতু আছে, সেই সেতুর উপর কৈসারের এক প্রতিমূৰ্ত্তি প্রতিষ্ঠিত হয় ; কৈসারের আদেশে তাহ • এরূপ বৃহদাকার করা হইয়াছে যে,-মূৰ্ত্তিটির ওজন সাড়ে চারি টন, অর্থাৎ প্ৰায় একশত পচিশ মণ ! রাজনীতি, সমাজনীতি, সাহিত্য, শিল্প, সঙ্গীত, বিজ্ঞান, দর্শন, জ্যোতিষ --সকল বিষয়েই কৈসার যে অসাধারণ পণ্ডিত, ইহা প্ৰতিপন্ন করিবার জন্য তঁহার প্রচুর উৎসাহ ও অনুরাগ লক্ষিত হয়। অধ্যাপক ভল্ট হফ, হল্যাণ্ডবাসী পণ্ডিত ; রসায়ন বিদ্যায় তাহার অসামান্য বুৎপত্তি। তিনি যখন আমষ্টার্ডাম বিশ্ববিদ্যালয়ে রসায়ন-বিদ্যার অধ্যাপক ছিলেন, সেই সময় বৈজ্ঞানিক আবিস্কারের জন্য তিনি 'নোবেল” পুরস্কার লাভ করেন। • কৈসার তাহার বিস্তাবিত্ত্বার পরিচয়ে মুগ্ধ হইয়া বার্লিন নগরে তঁহাকে একটি ভাল চাকরীতে নিযুক্ত করেন। ‘অরোরা বোরিয়ালিস' অর্থাৎ “কেন্দ্ৰিয় উষা” সম্বন্ধে বিদ্বজন সমাজে এ পৰ্যন্ত অনেক আলোচনা হইয়াছে ; কিন্তু এ বিষয়ে অধ্যাপক ভল্ট হকের ন্যায় অভিজ্ঞতা পৃথিবীতে আর কাহারও নাই। এই বিষয়ের গবেষণায় তিনি জীবনের সুদীর্ঘকাল অতিবাহিত করিয়াছেন।