পাতা:কৈসার-অন্তঃপুর রহস্য - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

१२ কৈসার-অন্তঃপুর রহস্য অধ্যাপক ভল্ট হফ বার্লিনে উপস্থিত হইলে, কৈসার উইলহেম। তাঁহাকে প্রাসাদে নিমন্ত্রণ করেন; ভোজনাগারে সম্রাট ও যুবরাজ রাজ-পরিজনবৰ্গসহ উপস্থিত ছিলেন। সম্রাট অধ্যাপকের সহিত আলাপ করিতে করিতে “কেন্দ্ৰিয় উষার” প্ৰসঙ্গ উত্থাপিত করিলেন ।-অধ্যাপক কৈসারের কথা শুনিয়া বুঝিতে পারিলেন, “কেন্দ্ৰিয় উষা” সম্বন্ধে তিনি যে সকল তত্ত্ব অবগত আছেন, অনেক বিখ্যাত বিশেষজ্ঞও তৎসম্বন্ধে তত দূর অভিজ্ঞ নহেন।— অধ্যাপক স্ব-লিখিত গ্রন্থে কৈসারের পাণ্ডিত্বের ভূয়সী প্ৰশংসা করিয়াছেন। —কৈসার যে এরূপ সুপণ্ডিত, ইহা পূর্বে তিনি কল্পনাও করেন নাই। • কৈসার যে অত্যন্ত গম্ভীর-“রাশভারি’ লোক,-সাধারণের নিকট ইহা প্রতিপন্ন করিবার জন্য তিনি অত্যন্ত উৎসুক। তিনি যে হাসিতে জানেন,-ইহাও তিনি প্ৰজা-সাধারণকে জানাইতে চাহেন না !! একবার র্তাহার ফটােগ্রাফ তুলিবার সময় ফটােগ্রাফার” তাহাকে জ্ঞাপন করেন,- তিনি মুখ বুজিয়া খুব গভীর হইয়া বসিয়া থাকিলে ছবি ভাল হইবে না। এ কথা শুনিয়া তঁহার মুখে কিঞ্চিৎ হাস্যচ্ছটা লক্ষিত হয় ; ঠিক সেই মুহুর্তে “ফটোগ্রাফার” তাহার ছবি তুলিয়া লয়।--তিনি দেখিলেন, ছবিতে র্তাহার মুখে হাসি ফুটিয়াছে! দেখিয়াই তিনি ক্রুদ্ধ হইলেন, এবং তৎক্ষণাৎ ‘প্লেট'খানি নষ্ট করিয়া শান্তি লাভ করিলেন। অনেক বদখেয়ালী বড় লোকের মত কৈসারও অকারণে ক্রুদ্ধ হন। বার্লিন নগরে একজন ঝাড়ুদার ছিল (Chimny sweep), তাহার চেহারা অবিকল কৈসারের চেহারার মত -কোন-কোনও হুজুকপ্ৰিয় দৈনিক পত্রিকার সম্পাদক সেই ঝাড়ুদারের ছবি স্ব-স্ব সংবাদপত্রে প্রকাশিত করিয়া কৈসারের সহিত তাহার আকৃতিগত সাদৃশ্য দেখাইয়া দেন ; ইহাতে কৈসারের সম্রামে এতই আঘাত লাগে যে, কয়েক দিন পৰ্যন্ত তাহার বিচলিত ভাব দূর হয় নাই।