পাতা:কৈসার-অন্তঃপুর রহস্য - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ অধ্যায় । কৈসার জৰ্ম্মান ভাব-প্রবাহ ( German culture ) পৃথিবীব্যাপী করিবার জন্য বহুদিন হইতেই সচেষ্ট । তিনি নানা ভাবে তাহার এই সঙ্কল্পের পরিচয় দিয়া আসিতেছেন। তঁহার অঙ্কিত একখানি বিখ্যাত চিত্রের নাম “জন্মান দ্রাক্ষালতা” ;-ইহা তাহার চিরপোষিত জৰ্ম্মান সভ্যতা-বিস্তারের রূপক । দ্রাক্ষালতার মূলে পৃথিবীর সকল জাতি সমবেত হইয়া আঙ্গুর রস পানের জন্য ব্যাকুল হইয়া উঠিয়াছে! সুতরাং, “আঙ্গুর টক” বলিয়া ক্ষুন্ন মনে কেহ যে ফিরিয়া যাইবে, ইহা কৈসারের অভিপ্রেত নহে। কিন্তু বৰ্ত্তমান পৃথিবীব্যাপী মহাসমরে জাৰ্ম্মান-সভ্যতার যে উলঙ্গ মূৰ্ত্তি জগৎসমক্ষে প্ৰকটিত হইয়াছে,-তাহা দেখিয়া এই রসাপানে বোধ হয়। অন্য কোনও জাতির আগ্ৰহ হইবে না। যে বাহাড়ম্বরপূর্ণ সভ্যতা ও ইহ-সৰ্ব্বস্বের শিক্ষা সমাজের সুখশান্তি হরণ করিয়া তাহাকে ধ্বংসের পথে লইয়া যায়,- আমাদের ন্যায় প্ৰাচ্যদেশবাসীগণ সেরূপ সভ্যতার ও শিক্ষার পক্ষপাতী হওয়া আত্ম-বিনাশের হেতু বলিয়াই মনে করিবেন। এই সভ্যতা-হুতাশনের ইন্ধন যোগাইতে কৈসারকে বিপুল অৰ্থ ব্যয় করিতে হয়। কৈসার মনে করেন ‘থিয়েটার’ ও শিক্ষা ও সভ্যতা বিস্তারের একটি অপরিহাৰ্য্য উপকরণ; সুতরাং থিয়েটারের তিনি অত্যন্ত পক্ষপাতী। বিদ্যালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় সমূহের ন্যায় থিয়েটারও যে শিক্ষাবিস্তারের একান্ত উপযোগী, এ কথা তিনি তাহার বক্তৃতায় প্রকাশ করিয়াছেন, এবং মুক্তকণ্ঠে ঘোষণা করিয়াছেন,-ইহাও তাঁহার একখানি অস্ত্ৰ ! “The theatre is also one of my weapon."