পাতা:কৈসার-অন্তঃপুর রহস্য - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ অধ্যায় bዖ(©ኑ “মার্কিন’ শুনিয়াই “শাস্ত্রী সাহেবের মেজাজ চটিয়া গেল ! সে তাহার লেফটেন্যাণ্টের নিকট শুনিয়াছিল, ইউনাইটেড ষ্টেটস প্রজাতন্ত্রের দেশ। সে দেশে রাজা নাই, রাজপুত্ৰ নাই, বেতনভোগী সৈন্য সামন্তও নাই ;-আতি জঘন্য স্থান -এমন দেশের লোক তাহদের সম্রাটের সঙ্গে দেখা করিতে আসিয়াছে!—সে বন্দুকটা বাগাইয়া ধরিয়া হুঙ্কার দিল, “গাড়ী ফিরাও, শীঘ্র ফিরাও ; যে পথে আসিয়াছ, সেই পথে সোজা চলিয়া যাও ! এখনই যাও বলিতেছি। তিনবার বলিবার পরও যদি না যাও, তাহা হইলে গুলি করিব।” a শাস্ত্রী গাড়ী লক্ষ্য করিয়া “রাইফেল’ উদ্যত করিল। জৰ্ম্মান সম্রাটের যত প্ৰজা, তাহার দ্বিগুণ পরিমাণ ‘ডলার” ( মার্কিন রৌপ্যমুদ্রা, এ দেশের তিন টাকা দুই আনার সমান) র্যাহার ভাণ্ডারে সঞ্চিত আছে, তিনি কৈসারের একজন সামান্য শাস্ত্রীর হুঙ্কারে ভয় পাইয়া তৎক্ষণাৎ সে স্থান হইতে পলায়ন করিলেন । যদি শাস্ত্রীর বাধা অগ্ৰাহা করিয়া তিনি প্ৰাসাদে প্রবেশের চেষ্টা করিতেন, তাহা হইলে প্রহরীর গুলিতে র্তাহাকে ইহলীলা সংবরণ করিতে হুইত, সন্দেহ নাই। শাস্ত্রী নিশ্চয়ই কৈসারের মামুলি আদেশ (Standing order ) অনুসারে। কাৰ্য্য করিত। এই ঘটনার কথা সম্রাটের কৰ্ণগোচর হইলে তিনি প্রহরীকে তিরষ্কার পর্য্যন্ত করেন নাই ! তবে তিনি যে প্রহরীর কৰ্ত্তব্যানুরাগের পরিচয় পাইয়া অত্যন্ত সন্তুষ্ট হইয়াছিলেন,-ইহার পরবর্তী একটি ঘটনা হইতেই তাহা বুঝিতে পারা যায়। মিঃ ভাণ্ডারবিন্টের অপমানের কথা প্ৰচারিত হইলে, বার্লিনে তুমুল আন্দোলন উপস্থিত হয় ; এমন কি, সম্রাটের পরিবারস্থ অনেকে এই অপকাৰ্য্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষোভ প্ৰকাশ করিয়াছিলেন। কিন্তু এই ঘটনার এক মাস পরে কৈসার তাহার রক্ষী সৈন্যদের সম্বোধন করিয়া যে বক্ততা করেন, তাহাতেই