পাতা:কৈসার-অন্তঃপুর রহস্য - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কৈসার-অন্তঃপুর রহস্য عسیر দিগকে রাজসভায় বা গবমেণ্টের বিভিন্ন বিভাগের কাৰ্য্যে নিযুক্ত করিয়াছেন। কিন্তু সেই ছবিগুলি তিনি এমন ভাবে আটুকাইয়া রাখেন যে, সামান্য মক্ষিকাটি পৰ্য্যন্ত তাহদের সন্ধান পায় না -যে সকল সুন্দরীর রূপলাবণ্যে কৈসার কোন-না-কোন দিন মুগ্ধ হইয়াছেন, তঁহাদের “ফটো” তিনি সযত্নে সংগ্ৰত করিয়া তদ্বারা বিভিন্ন কক্ষ, সজ্জিত করিয়াছেন। সুন্দরীদের অঙ্গে বহুমূল্য পরিচ্ছদ; আবার নগ্নদেহা সুন্দরীর চিত্রেরও অভাব নাই। অনেকগুলি চিত্র সুসজ্জিত ; কোন কোন চিত্রের নীচে দুই একছত্ৰ কবিতা, প্রেমের কবিতা!——কৈসার প্রেমিক পুরুষ সন্দেহ কি ? কৈসারের লিখিবার টেবিলের ( writing table) উপর যে সকল চিত্র সযত্নে সংরক্ষিত আছে, তন্মধ্যে ডিচেজ অব আয়োষ্টারের অৰ্দ্ধোলঙ্গ মূৰ্ত্তি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। র্তাহার সমুন্নত বক্ষস্থল অনাবৃত; কণ্ঠে অতি স্কুল মুক্তার হার-কলারের আকারে সন্নিবিষ্ট । কৈসার এই চিত্রের অত্যন্ত পক্ষপাতী ; কারণ তিনি বলেন, এই চিত্ৰখানি দেখিয়া ডচেজ, মহোদয়ার বৃদ্ধ মাতামহী ( Great grand-aunt ) নেপোলিয়ানমহিষী সাম্রাজ্ঞী জোসেফাইনের কথা তাহার মনে পড়ে। এক দিন কৈসার কথাপ্রসঙ্গে মহিষীকে জিজ্ঞাসা করিয়াছিলেন, “ডচেজের চেহারা কি, জোসেফাইনের মত নয় ?”-সাম্রাজ্ঞী ডচেজের পক্ষপাতিনী ছিলেন না, না থাকাই স্বাভাবিক ; স্বামীকে পরকীয়ার পক্ষপাতী দেখিলে, কোন স্ত্রীর মনে ঈর্ষ্যার সঞ্চার না হয় ? কৈসারের প্রশ্ন শুনিয়া মহিষী বলিয়াছিলেন, “তা হইতে পারে, কিন্তু জোসেফাইন বক্ষস্থল অনাবৃত। রাখিলে তাহার কোনও ক্ষতি ছিল না ; কারণ, শুনিয়াছি তিনি মোমনিৰ্ম্মিত পয়োধর ব্যবহার করিতেন।”-কৈসারের ডেক্সের উপরেও এই ডচেজের আর একখানি চিত্র সংরক্ষিত আছে। ডাচেজের প্রতি কৈসারের