পাতা:কৈসার-অন্তঃপুর রহস্য - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/৭৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

bryr কৈসার-অন্তঃপুর রহস্য সেই প্রাসাদে রাজা লিয়োপোল্ডকে বাস করিতে দিতে মহিষী সম্মত হন নাই। অগত্য রাজা লিওপোন্ডের বাসের জন্য ‘ষ্টাটু প্লাস’ (Stadt Schloss) প্ৰাসাদ নির্দিষ্ট হইল। এই প্ৰাসাদে একটিমাত্ৰ স্নানাগার ছিল ; এই স্নানাগার-সংলগ্ন কক্ষে প্রসিয় রাজবধূগণ বিবাহের পর তঁহাদের স্বামীর সহিত প্ৰথম রাত্রি যাপন করিতেন। আমাদের দেশে যাহাকে ‘বাসর ঘর” বলে, ইহা অনেকটা সেইরূপ। এই উৎসবস্মৃতি বিজড়িত কক্ষে রাজবংশীয় বর ভিন্ন অন্য কাহারও বাসের অধিকার ছিল না। কেবল মহাবীর নেপোলিয়ান বােনাপাটী একবার এই নিয়মের মৰ্য্যাদা লঙ্ঘন করিয়াছিলেন ; কারণ-র্তাহার খেয়ালে বাধা দানে কাহারও শক্তি ছিল না। যাহা হউক, বেলজি-রাজ লিয়োপোল্ডকে এই কক্ষ-সংলগ্ন স্নানাগার ব্যবহার করিতে দেওয়া হইবে না, স্থির হইল। কিন্তু প্ৰাসাদে ত অন্য স্নানাগার নাই ! এ অবস্থায় লিয়োপােন্ডের স্নানের কি ব্যবস্থা করা যায়, তাহা স্থির করিতে না পারিয়া কর্তৃপক্ষ অত্যন্ত বিব্রত হইলেন। অবশেষে কোর্ট মাসাল লাইবেনোর মস্তিকে একটি ফন্দীর উদয় হইল। তিনি তাড়াতাড়ি একটি উঠ বন্দীরকমের “স্নানাগারের পত্তন করিলেন । একটি কক্ষে জলের ‘টব৷” বসাইয়া দেওয়া হইল, সেই টবের সহিত একটি নল সংযোজিত হইল। বাহির হইতে গ্যাসের সাহায্যে জল গরম হইয়া এই নল দিয়া টবে আসিয়া পড়িবে, তাহারও বন্দোবস্ত করা হইল। টবের পাশে ঠাণ্ডা জলেরও একটা চৌবাচ্চা থাকিল। রাজ-অতিথি যদি দেখেন, নল দিয়া যে জল আসিতেছে, তাহা অত্যন্ত গরম,-তাহা হইতে তিনি তাহা সেই চৌবাচ্চার শীতল জলের সহিত মিশাইয়া লইয়া সুখে স্নান সমাপন করিবেন,- এই উদ্দেশ্যেই এরূপ পরিপাটী ব্যবস্থা হইল । পূৰ্ব-রাত্রে রাজকীয় উৎসবে লিয়োপোন্ডের ক্ষুৰ্ত্তি সীমা অতিক্রম