পাতা:কৈসার-অন্তঃপুর রহস্য - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ অধ্যায় ህ”ጵS করিয়াছিল ; সুতরাং প্ৰভাতে স্নান করিয়া তিনি প্ৰকৃতিস্থ হইবেন, এই অভিপ্ৰায়ে তাড়াতাড়ি স্নানাগারে প্রবেশ করিলেন ; এবং ঠাণ্ডা হইবার আশায়—গরম জল যে নল দিয়া প্রবাহিত হইবার কথা— তাহারই নীচে বসিয়া নলের মুখ খুলিয়া দিলেন!! গ্যাসের উত্তাপে নলের জল তখন বাষ্পাকার ধারণ করিয়াছিল; সেই অত্যুষ্ণ জল হাড়-হড় করিয়া তাহার মস্তকে ঢালিয়া পড়িল । সে ত জল নহে, আগুণ ! সেই জল যেমন মাথায় পড়া,-আর সঙ্গে সঙ্গে বেলজি-নরপতি করুণ স্বরে আর্তনাদ করিয়া উঠিলেন। র্তাহার। চীৎকারে সমগ্ৰ প্ৰাসাদ প্ৰতিধ্বনিত হইল! ব্যাপার কি, বুঝিতে না পারিয়া দ্বার-রক্ষকেরা প্রহরীদের সংবাদ দিল। তখন দশ বার জন রাজকৰ্ম্মচারী ও ভৃত্য রাজার কি হইল দেখিবার জন্য ছুটিল।--তাহারা মনে করিয়াছিল, রাজাকে কেহ খুন করিতেছে! কিন্তু তাহারা দৌড়াইয়া আসিয়া দেখিল, স্নানাগারের দ্বার রুদ্ধ ; কক্ষমধ্যে রাজা করুণ স্বরে আর্তনাদ করিতেছেন । রুদ্ধদ্বার স্নানাগারে তাহারা প্ৰবেশ করিবে কি না হঠাৎ স্থির করিতে পারিল না । কিন্তু রাজার। আৰ্ত্তনাদের বিরাম নাই ; ব্যাপার কি বুঝিতে না পারিয়া ভন লাইবেনে রাজার পার্শ্বচরকে সঙ্গে লইয়া তাড়াতাড়ি স্নানাগারের দ্বার ঠেলিয়া রাজার সম্মুখে উপস্থিত হইলেন। তঁহারা দেখিলেন, রাজা উলঙ্গ হইয়া অৰ্দ্ধ-দগ্ধ অবস্থায় নৃত্য করিতেছেন, আর একবার ফরাসী একবার জন্মান ভাষায় পােড়া-ঘায়ের ‘লিনিমেণ্ট,” মাখন প্ৰভৃতি আনিবার আশে করিতেছেন! পর দিন প্ৰভাতে রাজা লিয়োপোল্ডের প্রতি সন্মান-প্ৰদৰ্শনের জন্য জৰ্ম্মান সৈন্যগণের রণাভিনয় হইয়াছিল ; কিন্তু রাজা সে দিন প্ৰাসাদ-কক্ষ হইতে বাহির হইতে পারেন নাই, বাতায়ন-পথে জৰ্ম্মান-সৈন্যগণের রণাভিনয় দর্শন করিয়াই তাহাকে পরিতুষ্ট হইতে হইয়াছিল। কৈসারের