পাতা:কৈসার-অন্তঃপুর রহস্য - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ অধ্যায় ର{t প্ৰস্তুতের ব্যবস্থা করা হইয়াছে, পাচকেরা তাহা প্ৰস্তুত করিতেছে ; নানাপ্রকার মিষ্টান্ন ইতিমধ্যেই প্ৰস্তুত হইয়া আসিয়াছে।-এ সকল জিনিস এখন কি কাজে লাগিবে ?” সম্রাট ব্যারনের কথা শুনিয়া উত্তেজিত স্বরে বলিলেন, “সে জন্য তোমার চিন্তা নাই। যে সকল খাদ্যসামগ্ৰী প্রাসাদে ব্যবহার করিয়াও । উদ্ধৃত্তি হইবে, তাহা বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠাইয়া দাও।”—অনন্তর কৈসার আসন পরিত্যাগ পূর্বক সেই কক্ষে অধীর ভাবে পদচারণ করিতে লাগিলেন ; তাহার পর আরক্ত নেত্ৰে শূন্যে দৃষ্টিনিক্ষেপ করিয়া । বলিলেন, “আমি এ সময় হঠাৎ কয়েক সহস্ৰ নিমন্ত্রিত ব্যক্তিকে নিরাশ করিলাম কেন, জান ? কারণ, আমি হার বেটুকে পুনৰ্বার আমার গৃহে।। প্ৰবেশ করিতে দিব না স্থির করিয়াছি। সে আসিতে চায় বটে, কিন্তু আমি তাহাকে চাহি না । রাজপুরী ধ্বংস হয়-তাহাতেও ক্ষতি নাই, কিন্তু এখানে এক কক্ষে তাহার সহিত সন্ধ্যা-যাপন—অতঃপর আমার পক্ষে, অসম্ভব ।” কৈসার হারাবেটু-পত্নীর পত্ৰখানি আর একবার পাঠ করিলেন ; তাহার পর বলিলেন, “ডি গ্রাসি পদচ্যুত হইয়াছে। ইহাতে আমি অবমানিত হইয়াছি। হরবেটুকে বার্লিন হইতে না তাড়াইয়া আমি স্থির হইতে পারিতেছি না ।” ডি গ্রাসি ফরাসী নীে-বিভাগের একজন কৰ্ম্মচারী ছিলেন। কৈসার তঁহাকে অত্যন্ত অনুগ্ৰহ করিতেন । ডি গ্রাসি কৈসারের গুপ্তচর,- এই সন্দেহে ফরাসী রাজদূত র্তাহাকে পদচ্যুত করিয়াছিলেন।-হারাবেটের প্ৰতি কৈসারের ক্রোধের ইহাও অন্যতম কারণ।