পাতা:কৈসার-অন্তঃপুর রহস্য - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

°3भ ख्y ବନ୍ଧ পরই তিনি শয়ন করেন।--ট্রেণে উঠিয়া তিনি শয়ন করিলে ধীরে ধীরে ট্ৰেণ চালাইতে হয়। কারণ, পূর্ণ বেগে ট্ৰেণ চালাইলে তঁহার নিদ্রার ব্যাঘাত ঘটতে পারে। কৈসারের বাসের জন্য ট্রেণে যে “সেলুন’ থাকে, তাহা তাহার প্রাসাদ-কক্ষের ন্যায় সুসজ্জিত। তাহাতে বিলাসিতার কোনও উপকরণেরই অভাব নাই ; তাহাতে অভ্যর্থনা-কক্ষ, ভোজনাগার, শয়নাগার মানাগার, প্ৰসাধন-কক্ষ, রন্ধনশালা, ভাণ্ডার, আস্তাবল প্ৰভৃতি কত বিভিন্ন প্রকার কক্ষ আছে, তাহার সংখ্যা করা কঠিন।--কেবল একটি জিনিসের অভাব ;—কৈসারের সঙ্গে যে সকল পরিচারক যায়, ট্রেণে তাহদের শয়নের কোনও ব্যবস্থা নাই ; সুতরাং তাহারা রাত্রিকালে চেয়ারে বসিয়াই নিদ্রাদেবীর উপাসনা • করে,-না হয়। গাড়ীর মেঝেতে পড়িয়া ঘুমাইয়া লয় ! ট্ৰেণ চলিতেছে, প্ৰত্যুষে পাঁচ ঘটিকার সময়-কখন কখন তাহার পূর্বেই—কৈসারের চায়ের টেবিলে চা দিয়া আসিতে হয়। চা পানের পর কৈসার স্নান করিয়া বেশভূষায় রত হন - তাহার পর প্রাতৰ্ভোজন -প্ৰাসাদে তাহার টেবিলে যে সকল ভোজ্যদ্রব্য সরবরাহ করা হয়, ট্ৰেণে ভোজনকালে তুহাদের ‘‘রকম” ( variety) অধিক হওয়া চাই। ভোজনের পর সম্রাট পার্শ্বচরবর্গে পরিবৃত হইয়া ট্ৰেণ হইতে নামিয়া পড়েন ; এবং অশ্বারোহণে সুপ্তিমশ্ন রাজপথ ধ্বনিত করিয়া অভিপিসত স্থানে যাত্ৰা করেন। -সুপ্তোখিত নগরবাসীগণ তাড়াতাড়ি উঠিয়া দ্বার-জানালা অৰ্দ্ধোন্মুক্ত করিয়া ভীতিবিস্ময়-বিস্ফারিত নেত্ৰে এই আকস্মিক রাজ-অত্যুদয় নিরীক্ষণ করে। কৈসারের ভ্রমণের বাতিক এমন প্ৰবল যে, তিনি কোন কোন দিন নিউয়েস প্রাসাদে রাত্রিযাপন না করিয়া ‘ওয়াইন্ড পাৰ্ক’ ষ্টেসনে তঁহার ‘সেলুনেই রাত্রি