পাতা:কৈসার-অন্তঃপুর রহস্য - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/৯০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

у о о কৈসার-অন্তঃপুর রহস্য বাস করেন।-অথচ প্ৰাসাদ হইতে ষ্টেসনে আসিতে পাঁচ মিনিটের অধিক সময় লাগে না। —তবে কথা এই যে, তাহার প্রাসাদ-কক্ষে বাস—আর 'সেলুনে” বাস, উভয়ই তুল্যরূপ আরামদায়ক । ১৮৯৫ খৃষ্টাব্দের গ্ৰীষ্ম ঋতুর প্রারম্ভে তাহার এই অভ্যাস প্রবল হইয়া উঠে। সেই বৎসর জানুয়ারী মাসের এক রাত্ৰিতে কৈসারের মাৰ্ব্বেল-প্রাসাদে একটি রাজকীয় ভোজের আয়োজন ছিল। কৈসার উৎসবান্তে রোল-ষ্টেসনে যাত্রার উদ্যোগ করিতেছেন, এমন সময় মহিষী তাঁহাকে অভিমান-ভরে বলেন, “তুমি যে নিয়ম বধিয়া বাহিরে রাত্ৰিবাস করিতে আরম্ভ করিয়াছ, ইহাতে বোধ হয় বাহিরে বিশেষ কোনও আকর্ষণ আছে; তুমি কোথায় যাও, আমি দেখিব।”-মহিষীর ভয়-প্ৰদৰ্শনে কৈসার কয়েক মাস এই অভ্যাস ত্যাগ করিয়াছিলেন । মহিষী কৈসারকে এই ভাবে সাবধান না করিলে পরে তিনি অত্যন্ত অপদস্থ হইতেন সন্দেহ নাই ; কারণ, প্রাসাদের ভূত্যবৰ্গ অনেক দিন ধরিয়া নিয়মিত রূপে বেতন না পাওয়ায় অত্যন্ত অসন্তুষ্ট হইয়া কৈসারের বিরুদ্ধে এক ষড়যন্ত্র করিয়াছিল। তাহারা স্থির করিয়াছিল,-প্ৰজা সভায় ( Reichstag) রেলওয়ে বিভাগের যিনি সচিব আছেন,-তাহাকে প্রশ্ন করা হইবে,-কৈসার সাধারণের গৃহ (public depot) তাহার শয়ন-কক্ষে পরিণত করিয়াছেন কি না । অবশ্য, কৈসার কোথায় কি ভাবে রাত্রিযাপন করেন,-"তাহার আলোচনা ব্যবস্থাপক সভার সদস্যগণের অনধিকার-চৰ্চা ; কিন্তু তিনি ষ্টেসনে আসিয়া সেখানে রাত্রিবাস করিলে, তাহার সুনিদ্রার ব্যাঘাত না হয়। এজন্য মালগাড়ীর চলাচল বন্ধ রাখিতে হয়। ইহাতে সাধারণের অসুবিধা ও বাণিজ্যের ক্ষতি হয়, ইহা অস্বীকার করিবার উপায় নাই। এ কথা লইয়া প্ৰাসাদে কৰ্ম্মচারীগণের মধ্যেও আলোচনা আরম্ভ