পাতা:কৈসার-অন্তঃপুর রহস্য - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/৯৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চম অধ্যায় Σ' ο Φ. এই কথাবার্তার বিশ মিনিট পরে কৈসার সেনাপতি ভন লুকাডোর অট্টালিকায় সমুপস্থিত ! তাহার পশ্চাতে রাজ-ভৃত্য, তাহার হস্তে শ্বেত গোলাপের একটি সুদৃশ্য তোড়া । সেদিন সেনাপতি লুকাডোর স্ত্রীর জন্মতিথি-উৎসব ।--তাহার সুপ্ৰকাণ্ড হৰ্ম্ম্য দীপমালায় সুসজ্জিত ; বহু সন্ত্রান্ত রাজপুরুষ, এবং আভিজাত্য গৌরবমণ্ডিত পুরুষ ও মহিলা নিমন্ত্রিত হইয়া ভোজের মজলিসের শোভাবৰ্দ্ধন করিতেছিলেন। প্ৰকাণ্ড পুরী উৎসবমগ্ন -এমন সময় সম্রাটের আকস্মিক আবির্ভাবে যেন সেনাপতি-ভবনে মহাশব্দে বোমা ? ফাটিয়া গেল ! সকলে এমনই বিস্মিত, ভীত ও ব্যাকুল হইয়া উঠিলেন। বিনা-নিমন্ত্রণে সম্রাট হঠাৎ সেখানে উপস্থিত । ব্যাপার কি ? বলা বাহুল্য, এই উৎসবে সম্রাটকে নিমন্ত্ৰণ করিতে সেনাপতি-পত্নীর সাহসে কুলায় নাই ।—কিন্তু সম্রাট বুঝিলেন, এমন মজলিসে। তঁহার ঘটকালিটা “খুলিবে ভাল ; তিনি হৰ্যোৎফুল্প হইলেন। কৈসার সেনাপতি-পত্নীর সম্মুখে উপস্থিত হইয়া সহস্যে বলিলেন, “তুমি আমার এডজুটাণ্ট হিউয়েলসেনের হস্তে কন্যা-সম্প্রদানের সঙ্কল্প করিয়াছ শুনিয়া আনন্দ প্ৰকাশ করিতে আসিয়াছি -এমন গুণবান জামাই তুমি আর কোথায় পাইবে ?”-কৈসার তাহার এডজুটাণ্টের রূপগুণের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হইয়া উঠিলেন। মজলিসের সন্ত্রান্ত ভদ্ৰ মহোদয় ও মহিলাগণ নিস্তব্ধ ; সেই কক্ষে বজ্ৰাঘাত হইলেও তঁাহারা এত বিস্মিত হইতেন না । সম্রাটের কথা শুনিয়া সকলেই পরস্পরের মুখের দিকে চাহিতে লাগিলেন ; কাহারও বাক্যক্ষুৰ্ত্তি হইল না। সেনাপতির পত্নী কিছুকাল নিস্তব্ধ থাকিয়া ভগ্নস্বরে বলিলেন, “কিন্তু “আমি ত এ বিবাহে সন্মতি প্ৰকাশ করি নাই ; সম্রাট মিথ্যা জনরিবে: