পাতা:কোন পথে? - সুভাষ চন্দ্র বসু.pdf/১০১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

፱'ኳ” কোন পথে ? উপর প্রতিশোধ নিতে এবং লুপ্ত মৰ্যাদা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করতে অনেক বেশি উৎসুক ছিলেন। তঁদেরই কীৰ্তি বলতে হবে যে আজকের জগতে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস একমাত্র মুখ্য রাজনৈতিক সংগঠনৰ্যারা সমাসন্ন আন্তর্জাতিক সঙ্কটে প্ৰস্তুত হওয়া থেকে স্বেচ্ছায় বিরত থেকেছেন। এ তো মাত্র অভিযোগের শুরু । সেপ্টেম্বর মাসে সত্যিই যখন দুৰ্যোগ দেখা দিল তখন তঁরা কিরকম আচরণ করেন ? ১৯৩৮-এর হরিপুরা কংগ্রেসের এবং ১৯৩৯-এর ত্রিপুরি কংগ্রেসের অস্বস্তিকর প্ৰস্তাবগুলিকে নীরবে এবং বিনা ভণিতায় ধামাচাপা দেওয়া হয় । আমাদের বলা হয় কংগ্রেসের সর্বোচ্চ কর্মকর্তারা ভেবে দেখতে শুরু করেছেন। কিন্তু ভেবে দেখার ছিল কি ? ১৯২৭ সাল থেকে যুদ্ধসঙ্কট নিয়ে কংগ্রেস অনেক চিন্তা করেছে এবং পর পর নানা প্ৰস্তাবে তার সিদ্ধান্ত বিধৃত হয়েছে। নতুন করে ভেবে দেখার কিছুই ছিল নাযা বাকি ছিল তা হচ্ছে, ইতিপূর্বে গৃহীত এবং বারেবারে বিঘোষিত প্ৰস্তাবকে কাৰ্যকর করা । কিন্তু আসল প্ৰশ্নকে এড়াবার জন্য সব রকমের ফিকির-ফন্দির আশ্রয় নেওয়া হয়েছে । অগ্ৰণী নীতি গ্রহণের বিপক্ষে অনবদ্য দুটি যুক্তির সঙ্গে গত সেপ্টেম্বর থেকে তৃতীয় আরও একটি যুক্তি যোগ করা হয়েছে, যথা : সত্যাগ্ৰহ আন্দোলনের ফলে হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা দেখা দেবে। এটা শুধু ফন্দি নয়, রীতিমত অসৎ ফন্দি। সেপ্টেম্বরে পাঞ্জাবের মজলিস-ই- অহরর তাদের আন্দোলন শুরু করার পর থেকে কী ঘটেছে ? তাছাড়া দুষ্কৃতকারীরা এখানে-সেখানে সাম্প্রদায়িক গোলযোগ যদি সৃষ্টিই করে, তাতে কী আসে যায় ? এইরকম বিক্ষিপ্ত দাঙ্গা কি ১৯২১-এ, ১৯৩০-এ এবং ১৯৩২-এ হয়নি ? এই যুক্তিকে যদি চ্যালেঞ্জ’না করা হয়, তাহলে অগ্ৰণী যে কোন আন্দোলনকে পণ্ড করার জন্যে তা সব সময় আমাদের উপর প্রয়োগ করা হবে । সেপ্টেম্বর থেকে সবচেয়ে আশ্চৰ্য ব্যাপার যা ঘটেছে তা হচ্ছে স্বরাজের দাবিকে কাৰ্যত বর্জন এবং তার জায়গায় গোপনে তথাকথিত কনস্টিটিউয়েণ্ট এসেমব্লির দাবি আমদানি করা । নীচে থেকে জন