পাতা:কোন পথে? - সুভাষ চন্দ্র বসু.pdf/১০৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নেতাদের ভুল নেতৃত্ব • as তঁাদের ভয়, যদি সংগ্রাম শুরু করা হয় এবং যখন তা হবে, সেই সংগ্রামের নেতৃত্ব তাদের হাতছাড়া হয়ে যাবে। নতুন নতুন শক্তির, নতুন সব কর্মীর আবির্ভাব ঘটবে এবং তারা কংগ্রেসের সংগঠন ও নেতৃত্ব দুই-ই দখল করে নিতে পারে। সেই জন্য যেনতেনপ্রকারেণ সংগ্রাম এড়িয়ে চল-যতটুকু ক্ষমতা ইতিমধ্যে অর্জন করা গেছে সেই-- টুকুই বজায় রাখার চেষ্টা কর এবং গোপন সলাপরামর্শ ও দরকষাকষি করে পার তো আরও কিছু আদায় করে নাও । ইতিমধ্যে বামপন্থীদের দমন করতে তোমার সাধ্যে যা পার তাই করে যাও । সাম্রাজ্যবাদের সঙ্গে একদিন না একদিন আপসে আসা যেতে পারে । কিন্তু বামপন্থীর সঙ্গে লড়াই শেষ পর্যন্ত চালিয়ে যেতেই হবে। এই আপাত অসঙ্গতির-বামপন্থীর বিরুদ্ধে, বিশেষ * করে। ফরওয়ার্ড ব্লকের বিরুদ্ধে এই প্ৰতিহিংসার, কী ব্যাখ্যা করা যেতে পারে, যখন আমরা প্ৰথম পৰ্যায়ের এক সঙ্কটের মধ্যে দিয়ে চলেছি, এবং নেতারা নিজেরাই জাতীয় ঐক্যের জন্যে বারেবারে আবেদন করে চলেছেন ? বামপন্থীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা প্ৰত্যাহারের বিৰুদ্ধে অসংখ্য আবেদন, এবং বিশেষ করে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মত ব্যক্তির কাছ থেকে আবেদনও বিনা ভণিতায় প্রত্যাখ্যান করার কী কারণ থাকতে পারে ? হয়তো এর কারণ কী, আমরা বলতে পারি। এই হচ্ছে কুটরাজনীতি, এখানে আবেগ বা মানবতার কোন zB DDD SSDDSSBLBB DBBBB DBBD DD DBDBD BBDD ভিতরে ভিতরে সব সময় শ্রেণীসংগ্ৰাম চলেছে। এবং যেখানেই শ্রেণীসংগ্রাম সেখানেই নির্মমতা-সত্য ও অহিংসা সত্ত্বেও । আমাদের দেশবাসীর বিরাট এক অংশ এখনও মনে করে, কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি এবং মহাত্মা গান্ধী নিরাশ করবেন না । তাদের সঙ্গে আমাদেরও বলতে ইচ্ছা করে-তথাস্তু। কিন্তু এই ভাবনা কি নিতান্তই আমাদের মনের ইচ্ছা নয় ? আমাদের বলা হচ্ছে মহাত্মাজী ওয়ার্কিং কমিটির পরবর্তী বৈঠকে একটা ফরমুলা তৈরি করবেন (সম্ভবত লবণ সত্যাগ্রহের মত একটা ম্যাজিক ফরমুলা) এবং মার্চ মাসে রামগড়ে