পাতা:কোন পথে? - সুভাষ চন্দ্র বসু.pdf/১১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারতের ছাত্রসমাজের প্রতি ፭s“ች মধিবেশনে আমাদের কথাকে তাচ্ছিলা ও বিদ্রুপ করা হয়েছে। আমাদের জ্যেষ্ঠরা জরুরী জাতীয় সমস্যাগুলি নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা করার চেয়ে তঁাদের কাছে যা হস্ত গৌরব তা পুনরুদ্ধারের জন্য তঁরা বেশীমাত্রায় ব্যাকুল হয়েছিলেন । এ বিষয়ে কোনই সন্দেহ নেই যে, তাদের কাছ থেকে যা প্রত্যাশিত ছিল সেইমত র্তারা ত্রিপুরিতে দেশের স্বাৰ্থ ঠিকমত দেখতে পারেননি অথবা অবস্থা অনুযায়ী সমুচিত ব্যবস্থা গ্ৰহণ করেননি। দেশের মৰ্যাদা ও স্বার্থের উপরে তঁরা নিজেদের স্বাের্থ ও মর্যাদাকে স্থান দিয়েছিলেন । প্ৰসঙ্গত র্যারা ত্রিপুরিতে আমাদের লক্ষ্য করে হেসেছিলেন। তঁদের আমরা জিজ্ঞাসা করতে পারি কি, ১৯৩৯-এর সেপ্টেম্বরে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি যে প্ৰস্তাব পাস করেছিল কাৰ্যত তা চরমপত্র ছিল কি না । তবে আমাদের পক্ষে কীীই বা পার্থক্য হত যদি গত মার্চ মাসে চরমপত্রটি দেওয়া হত । গত সেপ্টেম্বর মাসের অ্যাগে, জাতীয় সংগ্রাম শুক করার দাবি প্রতিষ্ঠিত করার জন্য মঙ্গাত্মা গান্ধী এবং তঁর অনুগামীরা দুটি অনবদ্য যুক্তর দোহাই দিতেন । প্রথমত, কংগ্রেসের সাধারণ কমাঁদের পর্যায়ে চনত দেখা দিয়েছে এবং দ্বিতীয়ত, সতী গ্ৰহ আন্দোলন শুক করলে তার পরিণামে হিংসাত্ন প্ৰাদুৰ্ভাব হবে । সেপ্টেম্বর মাস থেকে তঁদের মাথায় একটা নতুন যুক্তি খেলেছে এবং আগের দুটির সঙ্গে এটিও যোগ করা হয়েছে। এটি হল হিন্দু-মুসলমানদের মধ্যে গোলযোগ বান্ধবার আশঙ্কা । আগে আগে সাম্প্রদায়িক গোলযোগ এখানে-সেখানে হয়েছে, ঠিকই, কিন্তু লক্ষ্যপথে আমাদের যাত্রা থেকে আমাদের বিরত করার অছিলারাপে। কখনও তা ব্যবহার করা হয়নি । ভবিষ্যতে আমাদের জ্যেষ্ঠরা আর কী যুক্তি আবিষ্কার করেন দেখা যাক । নিশ্চয় একথা বলা যেতে পারে যে, সেপ্টেম্বর মাস থেকে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি চুপচাপ বসে নেই। গরম গরম কথার লম্বা লম্বা প্ৰস্তাব গৃহীত হয়েছে এবং তার চেয়েও বড় কথা, আটটি প্রদেশ থেকে কংগ্রেসী মন্ত্রিসভা তুলে নেওয়া হয়েছে। কয়েকটি প্রদেশে যুদ্ধপরিষদ গঠন করা εί