পাতা:কোন পথে? - সুভাষ চন্দ্র বসু.pdf/১১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Sybr কোন পথে ? হয়েছে এবং স্বেচ্ছাসেবকদের ক্যাম্প ও স্বেচ্ছাসেবকদের সংগঠনের কথাও চলেছে। এ সবই ঠিক । কিন্তু একজন প্ৰাক্তন প্ৰধানমন্ত্রীর মুখ থেকে তিন মাসের ছুটি সম্পর্কে এ সব কী কথা শোনা যাচ্ছে ? চারদিকে এরকম কানাম্বুষা, কেন যে, কংগ্রেসী মন্ত্রীরা শীঘ্রই আবার সরকারী দপ্তরে ফিরে আসছে ? সাধারণ লোক সভাবতই বিমূঢ় এবং কী করবে ঠিক পাচ্ছে না। এবং এই বিমূঢ়তাকে চরম বিভ্রান্তিকর করতে ‘যুদ্ধ পরিষদ’গুলিকে সুতো কাটবার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আমাদের কাছ থেকে এখন আশা করা হচ্ছে, সুতো কাটতে কাটতে আমরা স্বরাজে পৌছিয়ে যাব, কিন্তু কী করে আমরা মহাত্মা গান্ধীর এই ‘যাদুমন্ত্রে’র অব্যৰ্থ শক্তি সম্পর্কে সুনিশ্চিত হই যখন আমরা জানি, এক শতাব্দী পূর্বে ভারতের জনসাধারণ যখন খাদি ও চরকা ছাড়া আর কিছু জানত না, তথনই তারা বিদেশী শক্তির পদানত হয়েছিল। it, ar. CS সোজাসুজি কথা বলার সময় এসেছে ; সময় এসেছে জনসাধারণকে সুস্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়ায় যে, সুতো কেটে স্বরাজ অর্জন করার ধারণা আসার কল্পনা ছাড়া কিছু নয়। আমাদের জাতীয় অর্থনীতিতে চরকার একটা স্থান আছে, কিন্তু তাকে আমাদের জাতীয় সংগ্রামের একটি পদ্ধতি হিসাবে উন্নীত করা ঠিক নয়। এবং স্বাধীনতাদিবসের শপথের মধ্যে চরকা কাটা ইত্যাদি সম্পর্কে উক্তি অন্তর্ভুক্ত করে সেই শপথকে যেন হেয় করা না হয় । খোলাখুলি বলতে কি, যুদ্ধে গ্রেট ব্রিটেনকে বিনা শর্তে সমর্থন করার জন্য মহাত্মা গান্ধী যে সুস্পষ্ট নেতৃত্ব দিচ্ছেন, নীতির দিক পেকে তা যতই ভুল হোক, সেই নেতৃত্বকে অনুসরণ করা, বিভ্ৰান্তিকর চিন্তার 'আশ্ৰয় নেওয়া অথবা লক্ষ্যহীন আঁকাবঁকা পথে ঘুরে মরার চেয়ে অনেক বেশী সততাসম্মত । কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির কাছ থেকে যে কাৰ্যক্রম জানা গেছে তা থেকে এখন স্পষ্ট বােঝা যাচ্ছে রামগড়ে কংগ্রেসের পরবর্তী অধিবেশন অনুষ্ঠিত না হওয়া অবধি, অর্থাৎ, ১৯৪০-এর মার্চ মাসের শেষাশেষি পৰ্যন্ত কোন আন্দোলনের কথা চিন্তা করা হচ্ছে না । আমরা জানি,