পাতা:কোন পথে? - সুভাষ চন্দ্র বসু.pdf/১১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

so কোন পথে ? তাদের আওতায় মিলিত হচ্ছে তা নিশ্চিতভাবে কংগ্রেসের ও ভারতীয় জনগণের সর্বনাশ ডেকে আনবে । সময় থাকতে তার বিরুদ্ধে আমাদের প্ৰতিবাদ মুখর হয়ে উঠুক এবং ব্রিটিশ সরকার তাদের নিজেদের স্বার্থে যদি এই দাবি পূরণ করে তাহলে আসন্ন বিপদ সম্পর্কে পূর্বাহুে আমাদের দেশবাসীকে সাবধান করে দেওয়া আমাদের কর্তব্য। ঠিক এই মুহুর্তে আমাদের সমস্যা জাতীয় সংগ্রাম শুরু করার সমস্যা । কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি কি তা শুরু করবে ? তাই আমরা সকলেই চাই এবং তার দ্বারাই ঐক্যবদ্ধ এক কংগ্রেসকে আন্দোলনের মধ্যে নামিয়ে আনা যাবে। কিন্তু তারা যদি পিছিয়ে থাকেন ? আমরা কি তাহলে পিছিয়ে থাকিব ? দেশ তাদেরও যেমন আমাদেরও তেমনই । আমাদের সবার মাতৃভূমির প্রতি নারী পুরুষ নির্বিশেষে আমাদের প্ৰত্যেকের কর্তব্য পালন করার দায়িত্ব আছে । অতএব আমাদের ইতিহাসের এই সঙ্কটকালে আমরা পিছিয়ে থাকতে পারি না । নেতারা যদি আমাদের নিরাশ করেন, আমাদের নিজেদের যতটুকু শক্তি ও সামর্থ্য আছে তাই সম্বল করে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে । এমন কি যদি বামপন্থীরাও সংগ্রাম শুরু করে, তাতেই যে সংগ্রাম বামপন্থী সংগ্ৰাম হবে এমন কোন কথা নেই । দক্ষিণপন্থী বা বামপন্থী যেই সংগ্রামের ডাক দিক না কেন, সেই সংগ্ৰাম হবে জাতীয় সংগ্ৰাম । কী ভাবে ডাক এল। তার সঙ্গে সংগ্রামের প্রকৃতিকে এক করে দেখলে মারাত্মক ভুল হবে। এই প্রসঙ্গে অখণ্ডনীয় তথ্যের ভিত্তিতে আমি না বলে পারছি না। যে, ১৯১৯ বা ১৯৩০ বা ১৯৩২ সালের কংগ্রেসের থেকে কংগ্রেস আজি অনেক শক্তিশালী । যদি অনেক কম শক্তি ও সামর্থ নিয়ে আমরা তিনবার লড়াই চালিয়ে আসতে পারি, বর্তমান সঙ্কটে কি আমরা ভয় পেয়ে পিছিয়ে যাব ? অতএব তোমাদের কাছে আমার আবেদন, আসন্ন সংগ্রামের জন্ঠ তোমৱা কোমর বঁাধো, তৈরি হও । সংগ্রাম সমাগত-কে ডাক দিয়েছে তাতে কী এসে যায় ।