পাতা:কোন পথে? - সুভাষ চন্দ্র বসু.pdf/১১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

VETVS IV efs yově আজ এক জটিল পরিস্থিতিতে দাড়িয়ে তোমরা যে কিছুকালের জন্য বিভ্রান্ত বোধ করবে, তা খুবই সম্ভব । কংগ্রেসের দ্বিধাগ্ৰস্তু, অনির্দিষ্ট নীতি এই বিমুঢ়তা বৃদ্ধি করছে। কোন কোন সাম্প্রদায়িক সংগঠনের বিপজ্জনক দৃষ্টিভঙ্গি পরিস্থিতি দুরূহতার করে তুলছে। বামপন্থীদের নিজেদের ভিতরেও যখন একতার অভাব, তখন যে কোন সাধারণ মানুষের মনোেবল প্ৰায় ভেঙে পড়াই স্বাভাবিক। যদিও তোমরা কোণঠাসা হয়ে দাড়িয়ে আছ, তবু এক মুহুর্তের জন্য সাহস বা আত্মবিশ্বাস হারিও না । কমরেডগণ, মনে রেখো, বামপন্থী আন্দোলন আজ চরম পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে চলেছে। তুমি ও আমি এই সঙ্কট কী ভাবে অতিক্ৰম করি তার উপরে এর ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে । আরও মনে রেখো, ভারতের স্বাধীনতা অর্জন করার পরম সুযোগ এখন আমাদের সামনে সমুপস্থিত । আমরা কেবল আমাদের সাবনাশের বিনিময়ে এরকম দুর্লভ সুযোগ হারাতে পারি। যদি আমরা অবস্থা অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্ৰহণ করতে অপারগ হই, ভবিষ্যৎ বংশধরেরা কপােনই আমাদের ক্ষমা করবে না । আমি স্বীকার করছি আমি তাদের দলে নাই যারা হীনতাভাবে ৬োগে । আমি বিশ্বাস করি যে, যদি বামপন্থীদের কাছ থেকেও ডাক আসে, জনসাধারণ স্বতঃই সে ডাকে সাড়া দেবে। যদিও নিছক সাংগঠনিক দিক থেকে আমরা তুলনায় অনেক দুর্বল, তবু সম্মিলিত দক্ষিণপন্থীদের থেকে সম্মিলিত বামপন্থীদের গণসমৰ্থন অনেক বেশি। মহাত্মা গান্ধী বা কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির কাছ থেকে যে নেতৃত্ব পাবার জন্য দেশ প্রত্যাশা ও প্রতীক্ষা করছে, তারা যদি তা না দেন, তাহলে, আমরা কিসের জন্য দ্বিধা করব ? জাতীয় আন্দোলনের সূচীমুখ হবার জন্য ইতিহাস দেবতা যদি বামশক্তিকে ডাক দেয়, তার জন্য আমরা শেন দুঃখিত না হই। অপরপক্ষে, আমাদের আন্দোলনের নেতৃত্ব করার ভূমিকা। যদি আমাদের উপরেই বার্তায়, সে সুযোগ আমরা যেন সাদরে গ্ৰহণ করি। তার দ্বারা স্বরাজ অর্জন করতে, দক্ষিণপন্থীদের পৃথক