পাতা:কোন পথে? - সুভাষ চন্দ্র বসু.pdf/১১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সম্মুখে বিপদ ৬ই জানুয়ারি ১৯৪০-এর 'ফরওয়ার্ড ব্লক’এ স্বাক্ষরিত সম্পাদকীয় আমাদের আগের সংখ্যায় কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির সাম্প্রতিকতম চাল, অর্থাৎ, কনস্টিটিউয়েণ্ট এসেমব্রি সম্পর্কে তঁদের দাবি সম্পর্কে আমরা দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি। কনস্টিটিউয়েণ্ট এসেমব্লির ধারণা বা তার দাবি নতুন কিছু নয়। কংগ্রেস বারে বারে তার নানা প্ৰস্তাবে এর উল্লেখ করেছে। কিন্তু বর্তমান দাবির যে রূপ এবং যে প্ৰণালীতে ও যে অবস্থায় তা পেশ করা হচ্ছে তা সত্যিই অভিনব এবং সে দিক থেকে অবাঞ্ছিতভাবেই অভিনব । এবং এর ভিতরে সবচেয়ে মারাত্মক দিক হচ্ছে এই যে, এই দাবিটিকে সবার অলক্ষ্যে পূর্ণ স্বরাজের জন্য আমাদের জাতীয় দাবির বদলে কাৰ্যত চালিয়ে দেওয়া হয়েছে। রাজনৈতিক কৃটিকৌশলের দিক থেকে চালটা নিঃসন্দেহে তোখড় এবং বামপন্থী সমেত বহুসংখ্যক কংগ্রেস কর্মী যারা যথেষ্ট সতর্ক নয়। তারা হতবুদ্ধি হয়ে যাবে। ওই চালটির বিপজ্জনক তাৎপৰ্য পুরোপুরি বুঝতে গেলে কনস্টিটিউয়েণ্ট এসেমব্লি বলতে বাস্তবিক কী বোঝায় সে সম্পর্কে আমাদের মনে সুস্পষ্ট ধারণা থাকা দরকার। তা বলতে নিঃসন্দেহে এমন একটি এসেমরি বা সভা বোঝায় যা কনস্টিটিউশন বা সংবিধান রচনা করার সুস্পষ্ট উদ্দেশ্যে নিৰ্বাচিত । কিন্তু এই সভা আহবান করে কে ? কখন এবং কোন কোন অবস্থায় সভা আহবান করা হয়ে থাকে এবং তা সত্যই সম্মিলিত হয় ? এর সিদ্ধান্তগুলিকে কিভাবে কাৰ্যকর করা হয় এবং কেই বা তা করে থাকে ? কনস্টিটিউয়েণ্ট এসেমব্লি সংক্রান্ত এই প্রশ্নগুলি প্ৰাসঙ্গিক এবং এইগুলির জবাব দেওয়া দরকার । কংগ্রেস থেকে কনস্টিটিউয়েণ্ট এসেমব্লির কথা যখন প্রখম তোলা হয় তখন যাদের ইতিহাস ও রাজনীতি সম্পর্কে কিছু জ্ঞান ছিল তারা ভেবেছিল জাতীয় সংগ্রামের শেষে ক্ষমতা দখল করা হলে পর ওই এসেমরি বা সভা আহবান করা হবে। লড়াইয়ে জেতবার পর জনগণের