পাতা:কোন পথে? - সুভাষ চন্দ্র বসু.pdf/১১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

? কোন পথে وفاته প্ৰতিনিধিদের কাছে যখন ক্ষমতা হস্তান্তরিত হবে, তারা তখন জাতীয় সরকার কিংবা অস্থায়ী জাতীয় সরকার গঠন করবে। এই সরকার জনগণের জন্য সংবিধান রচনা করতে একটি কনস্টিটিউয়েন্ট এসেমব্রি আহবান করবে। সার্থক সংগ্রামের পর যথার্থ ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত এইরকম সরকারের উপর যখন দেশের শাসনভার থাকবে, দুষ্কৃতকারী ভারতীয় বা বিদেশী দালালদের পক্ষে তখন যে কোন ভাবে সভার উদ্দেশ্যকে পণ্ড করা অসম্ভব না হলেও সহজ হবে না । কিন্তু কী হবে। যদি বর্তমান বি ব্রিটিশ সরকার এখন পূরণ করে দেয় ? তাহলে ব্রিটিশ সরকার কনস্টিটিউয়েণ্ট এসেমব্রি আহবান করবে। পৃথক নির্বাচকমণ্ডলীর ভিত্তিতে তা নির্বাচিত হবে । বর্তমান সাম্রাজ্যবাদী সরকারের আওতায় সেই সভা বসবে। কোনই নিশ্চয়তা থাকবে না, ওই এসেমব্লির বা সভার সিদ্ধান্তগুলিকে ব্রিটিশ সরকার কার্যকর করবে। কিনা। এবং এটি হয়ে দাড়াবে সম্মানিত এক বিতর্ক-সভা । তাছাড়া এসেমব্লি কক্ষটি দেশের যাবতীয় সম্প্রদায়িক শক্তির যুদ্ধক্ষেত্রে পর্যবসিত হবে । বর্তমান সরকার যাতে নেপথো থেকে তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী পুতুল-নাচের দড়ি ইচ্ছামত টানতে পারে তার ব্যবস্থা রাখবে। কোন একটা অঘটন। যদি না ঘটে তাহলে এসেমব্লির ভিতরকার। কলহ-বিবাদের পরিণতি হবে পুরোপুরি অচলাবস্থা এবং এসেমব্লি নিস্ফল বলে প্রমাণিত হবে। ব্রিটিশ সরকার তখন এই বিয়োগান্ত নাটকের রচয়িতা হিসেবে কংগ্রেসকে দেখাবে । এবং তারা তখন বড়াই করবে যে, তারা বিনাশর্তে কংগ্রেসের দাবি মেনে নিয়েছিল। এইরকম বিপাকে পড়ে কংগ্রেস কী জবাব দিতে সক্ষম হবে ? এই পথে পদক্ষেপ অত্যন্ত বিপজ্জনক হবে এবং আমরা এইটুকু আশা করতে পারি যে সরকার, তাদের নিজেদের স্বার্থের কথা বিবেচনা করে, এতে সম্মত হবে না। যদি তারা তা কৰুে, তবে কংগ্রেস নিজেদের সর্বনাশ ডেকে আনবে । এই সঙ্কট সময়ে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি কী কয়ে এই ধরনের দাবি পেশ করতে পারল সাধারণ লোকের পক্ষে তা বোঝা দুষ্কর ।