পাতা:কোন পথে? - সুভাষ চন্দ্র বসু.pdf/১৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

so কোন পথে ? আমরা বুঝতে পারছি আপাসওয়ালারা স্বেচ্ছায় কংগ্রেস ছেড়ে নাও যেতে পারে এবং দলবদ্ধ সংখ্যাধিক্যের জোরে ঐ সংস্থার সুনাম নিজেদের স্বার্থে তারা ব্যবহার করতেও পারে। সেরকম অবস্থায় মনে হয়। দুটাে কংগ্রেস হবে। তখন সাধারণ মানুষকে, জনসাধারণকে ঠিক করতে হবে, ঠিক করে বলতে হবে কোন কংগ্রেস তাদের কংগ্রেস। তারা কী উত্তর দেবে, সে বিষয়ে আমাদের মনে কোন সন্দেহ নেইকারণ জনসাধারণ আমাদের দিকে । মহাত্মা গান্ধীর নামের প্রভাব সত্বেও সম্মিলিত দক্ষিণপন্থীদের থেকে সম্মিলিত বামপন্থীদের অনুগামী সংখ্যা অনেকগুণ বেশী । বস্তুতপক্ষে বামপন্থীদের সমর্থন না থাকলে বর্তমান কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির অনুগামী বলতে কে আর আছে ? সংগঠিত কৃষকশ্রেণীর, সংগঠিত শ্রমিকশ্রেণীর, সংগঠিত যুবসমাজের, সংগঠিত ছাত্রসমাজের এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়গুলির কোন আস্থা এদের উপর নেই। অতএব, এত অল্প লোকবল নিয়ে তারা কি ভারতের জনগণের হয়ে তাদের দায়িত্ব পালন করতে পারবে ? এ প্রশ্নের উত্তর বলার দরকার হয় না । দক্ষিণপন্থীরা কবে আপস নিস্পত্তি করতে সমর্থ হবে সেইদিনের জন্য অপেক্ষা না করে আমাদের এখন থেকেই উচিত সেই দিকের সব রকম প্ৰয়াস ব্যর্থ করতে যথাসাধ্য চেষ্টা করা । সেই উদ্দেশ্যেই কংগ্রেসের যখন অধিবেশন হবে তখন রামগড়ে একটি আপসবিরোধী সম্মেলন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে। দেশের বামপন্থী সবাই এবং বামপন্থী সব সংগঠন। ১৮ই ও ১৯শে মার্চ অ্যাপসবিরোধী সম্মেলনকে সম্পূর্ণ সাফল্যমণ্ডিত করতে রামগড়ে যেন দলে দলে যোগদান করে । আমাদের মনে কোনই সন্দেহ নেই যে, এই সম্মেলন যদি সাফল্যমণ্ডিত হয়, তাহলে আপসের সব চেষ্টা আপনিই বন্ধ হয়ে বাবে এবং তার ফলে কংগ্রেসকে এবং দেশকে জাতীয় দুৰ্দৈবের হাত ८थं८क द्रक झ यां । বিহার প্রাদেশিক কিষাণ সভা রামগড়ে এক কিষাণ সমাবেশের আয়োজন, করছে। তাতে দু লক্ষ কিষাণ যোগ দেবে। রামগড়