পাতা:কোন পথে? - সুভাষ চন্দ্র বসু.pdf/১৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাংলার জন্ট ১৭ই ফ্রেব্রুয়ারি, ১৯৪০-এর 'ফরওয়ার্ড ব্লক’এ স্বাক্ষরিত সম্পাদকীয় । যে সকল বন্ধুবান্ধব কংগ্রেসের কার্যকলাপের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত নয়। তারা কংগ্রেসের ভিতরকার সাম্প্রতিক ঘটনাবলীতে প্ৰায়শই বিভ্রান্ত বোধ করছে। দেশের সুদূর প্রান্তে যে সকল কর্মী আছে তাদের সম্পর্কে একথা বিশেষভাবে প্ৰযুজ্য। সাধারণ বুদ্ধিতে বলে : “কংগ্রেসের লক্ষ্য তো স্বাধীনতা । কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির এবং বঙ্গীয় প্ৰাদেশিক কংগ্রেস কমিটির সদস্যরা সকলেই জনসেবক এবং তঁরা সকলেই তঁদের দেশের স্বাধীনতা অর্জন করতে কৃতসংকল্প । তাহলে কেন এই গৃহবিবাদ ?” অপরের নিতান্ত আনাড়ীর মত এইভাবে আবেদন জানায় : “কংগ্রেস হাই কমাণ্ডের সঙ্গে আপনাদের সব মতবিরোধ দয়া করে মিটিয়ে ফেলে সম্মিলিত ফ্রন্টে শক্রির বিরুদ্ধে দাড়ান।” যেন আমরাই ওয়ার্কিং কমিটির সঙ্গে বিবাদ বাধিয়েছিা! সাধারণের - স্মৃতি যে স্বল্পস্থায়ী-ত সুবিদিত। তাই, অতীতে যা ঘটেছে অল্প কথায় তা একবার বলে নেওয়া দরকার। ১৯৩৯-এর এপ্ৰিল মাসে কলিকাতায় আমার সভাপতিত্বে নিখিল ভারত কংগ্রেস কমিটির যখন বৈঠক বসে এবং সেখানে নতুন ওয়ার্কিং কমিটি গঠনের প্রশ্ন উত্থাপিত হয়, তখন সমমতাবলম্বী কেবিনেটের গান্ধীবাদী তত্ত্বের সঙ্গে আমাদের বিরোধ বাধে । আমাদের মোদা কথা বলে দেওয়া হয় যে, ভবিষ্যতে দক্ষিণপন্থীরা বামপন্থীদের সহযোগিতায় কাজ করতে পারবে না। প্রকৃতপক্ষে এই অসহযোগিতা শুরু হয় ১৯৩৯-এর ফ্রেব্রুয়ারি মাস থেকে, যখন কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট পদে আমি পুননির্বাচিত হই, তখনই ওয়ার্কিং কমিটির সদস্যরা তাদের পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দেন।