পাতা:কোন পথে? - সুভাষ চন্দ্র বসু.pdf/১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R কোন পথে ? এবং সেই সংঘর্ষের সমাপ্তি ঘটে আরেক ‘সমন্বয় তত্ত্বে' । এইভাবে প্রগতির চাকা ক্রমাগত এগিয়ে চলে । র্যারা যখন তখন একতার কথা বলেন এবং সর্বক্ষেত্রে ও সর্ব অবস্থায় একতা বজায় রাখার জন্যে আবেদন করেন, তঁরা ক্রমবিকাশের এই মূল সূত্রটি খেয়াল রাখেন না। সত্যকার একতা এবং ভুয়ো একতা, কর্মের একতা ও অকৰ্মণ্যতার একতা, যে একতা প্ৰগতিধর্মী এবং যে একতা অচল অবস্থা সৃষ্টি করে- এদের মধ্যে আমাদের পার্থক্য করতে হবে। আজ “যে কোন মূল্যে এবং সকল অবস্থায় একতা’ স্লোগান তাদের কাছেই সুবিধাজনক শ্লোগান হয়ে উঠেছে। যারা আর সক্রিয় নয় এবং বৈপ্লবিক প্রেরণা যাদের আর নেই। এই মন ভোলানো আবেদনে আমরা যেন বিপথে চালিত না হই । জীবন্ত ও সক্রিয় প্রতিটি আন্দোলনে প্রচ্ছন্ন একটি পামপন্থী শক্তি থাকে-অপনার বলতে পারেন-একটি প্রচ্ছন্ন ‘বিপরীত তত্ত্ব’ । কাল পূর্ণ হলে এই প্রচ্ছন্ন বামশক্তি প্রকট হয় এবং সময়ে তার আরও বিকাশ ও অভিব্যক্তি ঘটে । কতকগুলি অবস্থার একটি নির্দিষ্ট সন্নিবেশের মধ্যে কি ভাবে বামপন্থী শক্তির পোষকতা করা যেতে পারে। তা জেনে ঠিক করতে হলে রাজনৈতিক, এবং কখনও কখনও দার্শনিক, অন্তদৃষ্টি দরকার। প্রায়ই এমন হয় যে, দক্ষিণপন্থীদের সঙ্গে আপস ও সহযোগিতার মধ্যে দিয়ে বামপন্থীরা শক্তি অর্জন করে এবং প্রভাব বিস্তার করে । ভিন্ন অবস্থার সন্নিবেশে, তা সম্ভব নাও হতে পারে । অতএব বামপন্থীর পক্ষে দক্ষিণপন্থী থেকে নিজেদের আলাদা করা এবং নিজস্ব শক্তি ও দলকে সংহত ও প্রসারিত করা প্রয়োজন হতে পারে । এই রকম অবস্থায়, সাময়িকভাবে বেদনাদায়ক হলেও, তীব্ৰ সংঘর্ষ বাস্তবিকপক্ষে প্রগতির অনুকূল হতে পারে এবং আসলে তা অপরিহার্যও । বামপন্থী শক্তির আবির্ভাব ও বিকাশের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে যুক্ত থাকে সাংগঠনিক উন্নতি । দক্ষিণী শক্তির সঙ্গে সহযোগিতা করে অপবা তার সঙ্গে সংঘর্ষের মধ্যে দিয়ে বামপন্থী শক্তি যতদিন পর্যন্ত সংগঠনকে দখল করতে না পারে অথবা দক্ষিণীদের তাদের স্বমতে