পাতা:কোন পথে? - সুভাষ চন্দ্র বসু.pdf/১৫০

Friarg Vestfeestiga S\9a নতুন যুগের অরুণোদয়কে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। সাম্রাজ্যবাদের যুগ শেষ হয়ে আসছে এবং স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও সমাজবাদের যুগ আমাদের সামনে আসন্ন। তাই ভারত আজ ইতিহাসের এক পথসন্ধিতে দাড়িয়ে আছে। দুনিয়াম্ম আসন্ন উত্তরাধিকারে, আমরা যদি ইচ্ছা করি, আমরাও অংশভাগী হতে পারি । পুরনো কাঠামোটা যখন নিজের ভারে ভেঙে পড়ছে এবং পুরনোর ভগ্নস্তৃপ থেকে যখন নতুনের আবির্ভাব এখনও হয়নি, তখন লোকেরা যে বিভ্ৰান্ত হবে এতে আশ্চৰ্য হবার কিছু নেই। তবে অনিশ্চয়তার এই দুঃসময়ে আমরা যেন আমাদের উপর, দেশবাসীর উপর, মানবজাতির উপর আমাদের বিশ্বাস না হারাই। বিশ্বাস হারানো হৰে নিদারুণ এক সর্বনাশ । এইরকম সঙ্কটের মধ্যেই হয় জাতির নেতৃত্বের চূড়ান্ত পরীক্ষা। বর্তমান সঙ্কটে আমাদের নেতৃত্বের যাচাই হয়ে গেছে। দুৰ্ভাগ্যবশত সেই নেতৃত্ব আশানুরূপ হতে পারেনি। কেবলমাত্র তার ব্যর্থতার কারণগুলি বিশ্লেষণ করে এবং সর্বসমক্ষে তুলে ধরেই আমরা ইতিহাসের শিক্ষা লাভ করতে পারি এবং আমাদের ভবিষ্ণুৎ কর্মপ্ৰয়াস ও অবদানের ভিত্তি স্থাপন করতে পারি। কিন্তু এইরূপ বিশ্লেষণ ও দোষোদঘাটন সংশ্লিষ্ট সবার কাছেই বেদনাদায়ক হবে, যদিও তা যাতে না হয় তারও site veig এখানে আমি মূল বিষয় থেকে সরে গিয়ে অন্যান্য দেশে অন্যান্য যুগে অনুরূপ সঙ্কটের সঙ্গে সাদৃশ্য দেখাতে চাই। ১৯১৭ সালে রাশিয়ায় যখন অক্টোবর বিপ্লব শুরু হল, বিপ্লবকে কীভাবে পরিচালিত করতে হবে সে বিষয়ে কারও স্পষ্ট ধারণা ছিল না । বলশেভিকদের অধিকাংশই তখন অন্যান্য পাটির সঙ্গে কোয়ালিশনের কথা ভাবছে। একমাত্র লেনিন সর্বপ্রকার কোয়ালিশনকে নস্যাৎ করে আওয়াজ ভুগলেন- “সমস্ত "শক্তি সোভিয়েভকে দিতে হবে।” দ্বিধা-সন্দেহভরা এই সময়ে লেনিনের সময়োচিত নেতৃত্ব না পেলে কে বলতে পারে রুশ ইতিহাসের মোড় কোনূ দিকে ঘুরতে ? লেনিনের অভ্রান্ত