পাতা:কোন পথে? - সুভাষ চন্দ্র বসু.pdf/১৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রামগড়ের আহবান DgDi gLBBS SLL0eSDDBLL DDDSLLL BBDBBD BBuDt গত ১৯শে ও ২০শে মার্চ রামগড়ে যখন ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের অধিবেশন চলছিল তখন সেখানে অনুষ্ঠিত নিখিল ভারত আপসবিরোধী সম্মেলনে যে সকল প্ৰস্তাব গৃহীত হয়েছিল সম্পূর্ণভাবে আমরা ভা গত সংখ্যায় প্ৰকাশ করেছি। দক্ষিণপন্থী কংগ্রেস সদস্যদের প্রচণ্ড বিরোধিতা উপেক্ষা করে সম্মেলনের আয়োজন করা হয় । শেষ পৰ্যন্ত সম্মেলনকে পণ্ড করার জন্য তারা নানা প্ৰকার নির্লজ্জ উপায়। অবলম্বন করে। সে সব সত্ত্বেও সম্মেলন সম্পূর্ণ সাফল্যমণ্ডিত হয়। জনসমাবেশই শুধু অভূতপূর্ব হয়নি—তা কংগ্রেসের জনসমাবেশকেও ছাড়িয়ে গিয়েছিল,-“এই সম্মেলন দেশের প্রত্যেক প্ৰান্ত থেকে সমাগত যথাৰ্থ সাম্রাজ্যবাদবিরোধীদের অত্যাবশ্যক এক মিলনমঞ্চের চাহিদাও মিটিয়েছিল। ২০শে মার্চ রামগড় আপসবিরোধী সম্মেলনে প্রধান যে প্ৰস্তাবটি গৃহীত হয় তার আলোচ্য বিষয় ছিল আমাদের জাতীয় সংগ্ৰাম । প্ৰস্তাবটি দারুণ হর্ষধ্বনি ও প্রচণ্ড উৎসাহের মধ্যে সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়। যে মুহুর্তে ঘোষণা করা হল যে, প্ৰস্তাবটি গৃহীত হয়েছে, অমনি শিঙাধবনি বেজে উঠল এবং আনন্দ ও পবিত্ৰ উদ্দীপনায় আত্মহারা এক লক্ষ লোক আসন ছেড়ে লাফিয়ে দাড়াল । এ এমনই এক দৃশ্য যা মানুষ একবার দেখলে কখনও ভুলবে না। রামগড় থেকে আহবান এল এবং আমরা যারা সম্মেলনে সেখানে উপস্থিত ছিলাম, প্ৰত্যেকে সাড়া দিলাম । আমাদের সংগ্রাম ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। এখন সমগ্ৰ জাতির সেই সংগ্রামের সামিল হওয়া बाकि ! ৬ই এপ্রিল বাৎসরিক জাতীয় সপ্তাহ পালন শুরু হবে । ভারতবর্ষের সাম্প্রতিক ইতিহাসে ওই সপ্তাহ অবমাননার সপ্তাহ, কারণ ১৯১৯