পাতা:কোন পথে? - সুভাষ চন্দ্র বসু.pdf/১৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ब्रांभशहड़ब्र अश्विान S8 খ্ৰীষ্টাব্দে পাঞ্জাবের অমৃতসরে [ এই সপ্তাহেই ] জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। পরাধীন জাতির আত্মমৰ্যাদা ও সম্মানবোধ জাগ্রত করার জন্য তাদের অবমাননার কথা স্মরণ করিয়ে দেওয়া প্রায়শই প্ৰয়োজন । এই বৎসর জাতীয় সপ্তাহের অভূতপূর্ব এক তাৎপৰ্য আছে, যেহেতু আপসবিরোধী সম্মেলন নির্দেশ দিয়েছে যে, ৬ই এপ্রিল যেন সমস্ত স্থানীয় সংগ্ৰাম তীব্রতর করা হয় এবং সমগ্ৰ ভারতের ভিত্তিতে সৰ্বভারতীয় ফ্রন্টে এক সংগ্রাম শুরু করা হয়। নতুন জীবন ও অনুপ্রেরণায় কম্পিত হৃদয় নিয়ে আজ আমরা জাতীয় সপ্তাহের প্রাক্কালে দাড়িয়ে আছি । যারা অতল গিরিপ্রপাতের ধারে দাড়িয়ে আছে কে জানে তাদের ভবিষ্যতে কী আছে ? তারা কি স্বরাজ অর্জন করতে পারবে, না, পারবে না ? তারা কি বাইরের শক্ৰদের এবং দক্ষিণের ও বামের ঘরের পেচকদের পযুদস্ত করতে পারবে ? স্বরাজ তারা অর্জন করতেও পারে, নাও পারে। কিন্তু একটি বিষয় সুনিশ্চিত । আর সবাই যখন নিরাশ করেছে তারা যে তখন তাদের কর্তব্য পালন করেছে এই আত্মপ্রসাদ তাদের থাকবে । দেশে ও বিদেশে তারা ভারতীয় জাতির সম্মানকে তুলে ধরবে। এর চেয়েও বড় কথা, তারা এদেশে বামপন্থী আন্দোলনের ভবিষ্যৎ সুনিশ্চিত করবে। এক আঘাতে স্বাধীনতা অর্জন করা যাক বা না যাক, দক্ষিণপন্থা চিরতরে সমাধিস্থ হবে এবং ভারতের মাটিতে বামপন্থা দৃঢ়মূল শিকড় বিস্তার করবে। রূণশিঙা ধ্বনিত হয়েছে। পাশার দান চালা হয়ে গেছে । এইক্ষণে আর দ্বিধা নয়। আমাদের ক্রমাগত বেগে এগিয়ে যেতে হবে। অনাগত ভবিষ্যৎ থেকে উদ্ভূত হবে সেই আলোক যা আমাদের বহু যুগের আকাজক্ষাকে পুরণ করবে, যা এনে দেবে স্বাধীনতা ও সাম্য ; শান্তি ও অন্ন ; এবং সবার উপরে পরমানন্দের অমৃতকলাস ।