পাতা:কোন পথে? - সুভাষ চন্দ্র বসু.pdf/১৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

a RGF VGs ১৩ই এপ্রিল, ১৯৪০-এর “ফরওয়ার্ড ব্লক’এ স্বাক্ষরিত সম্পাদকীয় । রাজনৈতিক অচলাবস্থার এবার অবসান হয়েছে । রামগড়ের আহবানের ফল ফলেছে। সেখানে যে রণভেরী বেজেছিল তা ধবনিত প্ৰতিধ্বনিত হয়ে সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে এবং জীবন্ত জনতা সেই ডাকে অন্তর থেকে সাড়া দিয়েছে। গত সপ্তাহের প্রতিদিনকার কাগজ পড়ে আনন্দের শিহরন জাগে। আমরা আর বসে বসে ভাবনার জন্ট পাকাচ্ছি না বা সমালোচনা করছি না । অন্তহীন বাগবিতণ্ডায় আর আমরা নিরত নেই, নিরত নেই স্থানীয় সংগ্ৰাম বনাম জাতীয় সংগ্রামের উপর চুলচেরা যুক্তিতর্কে । আমরা এখন যাত্রাব্রত। অন্ধে অন্নপুৰ্ণাইয়া, বোম্বাইয়ে সেনাপতি বাপত এবং প্রাক্তন সিভিলিয়ান কামাখ, মহারাষ্ট্রে কিষাণ নেতা ভূস্কুটে, মাদ্রাজে অধ্যাপক রঙ্গ, আসরাফুদ্দীন চৌধুরী এবং সত্যরঞ্জন বস্ত্রী যথাক্রমে বাংলার কংগ্রেসের এবং বাংলার ফরওয়ার্ড ব্লক-এর সেক্রেটারি এবং আরও অনেক কমরেড র্যাদের অধিকাংশ ফরওয়ার্ড ব্লক ও কিষাণ সভার সঙ্গে যুক্ত-বর্তমানে কারারুদ্ধ। প্ৰথম দলে তঁরা গেছেন, গৌরবের জয়মাল্য তঁদেরই প্ৰাপ্য। তঁরা শ্রেষ্ঠ সম্মানের অধিকারী। এখন সমস্যা, আমাদের করণীয় কী ? ১৯৩০ সালে ভারতের বুকে যখন বিপ্লবের আগুন জ্বলছে তখন উগ্ৰপন্থী বলে পরিচিত একদল ধড়িবাজ কংগ্রেসীরা প্ৰতিবিপ্লবী এই কারণ দেখিয়ে আন্দোলন থেকে দূরে সরে রইল এবং তাতে যোগ দিতে রাজী হল না। যে সকল নারী পুরুষ বিদেশীদের “আইন শৃঙ্খলা’ অমান্য করছিল, কারাবাসের কষ্ট নিভয়ে স্বীকার করছিল এবং পুলিসের বেটন চার্জের সম্মুখীন হচ্ছিল তাদের প্ৰতিবিপ্লবী বলা এমন কি সরলবিশ্বাসী ভাবতীয়দের কাছেও একটু বাড়াবাড়ি বলে মনে হয়েছিল। আন্দোলন উত্তরোত্তর শক্তি অর্জন করে। বেড়ে চলল এবং এদেশের অগণিত জনতাকে অনুপ্ৰাণিত করল এবং বিপ্লবী জনতা থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন ও একা হয়ে রইল। এই বামপন্থীরা।