পাতা:কোন পথে? - সুভাষ চন্দ্র বসু.pdf/১৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নতুন কুচকাওয়াজ ২৭শে এপ্রিল, ১৯৪০, ফরওয়ার্ড ব্লক”এ স্বাক্ষরিত সম্পাদকীয়। লণ্ডন আবার মুখর হয়েছে। কিন্তু যে সময়ে ভারত-সচিবের ভবিষ্যদ্বাণী শুনে ভারতের জনসাধারণের কৌতুহল জাগ্রত হত এখন আর সেদিন নেই। সেই কারণে লর্ড জোটল্যাণ্ডের বক্তৃতা সম্পর্কে ঘোষণা, এমন কি বক্তৃতার ভাষণ জনসাধারণের মনে কোন সাড়া জাগায়নি। বক্তৃতাটা যথারীতি আমলাতান্ত্রিক ছকে বাধা উক্তি বলে কোনই আমল পায়নি। এইরকম উক্তি টেমস নদীর উপকূল থেকে প্রায়শই শোনা যায়। ইংরেজদের দৃষ্টিকোণ থেকে, ভারতীয় পরিস্থিতিকে বোঝানো যায় একটি কথায়-অচলাবস্থা। কিন্তু কে এই অচলাবস্থা ভঙ্গ করবে এবং কিভাবেই বা করবে ? ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ তা পারে কি ? এই পরিস্থিতির সঙ্গে তাল রেখে যে দৃঢ় পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন স্পষ্টতই তাদের সেই জীবতার অভাব। এবং এই জীবতার অভাবের মূল কারণ এই যে, এইরকম সঙ্কটকে অবধারণ করতে গেলে এবং ঠিকমত তার সমাধান করতে হলে যে ন্যায়নিষ্ঠ ও বৈপ্লবিক মনোভাব থাকা দরকার তা তাদের নেই। প্রাচীন সাম্রাজ্যবাদী মন সব সময়ে একটা বঁধা ছকের মধ্যে কাজ করে। তা কখনও নতুন কোন পশ্বের হদিস দিতে পারে না । সেই কারণে অবক্ষয় যখন একবার শুরু হয়, সাম্রাজ্যবাদের অধঃপতন তখন রোধ করা দুঃসাধ্য হয়ে ওঠে। মনে পড়ে প্রাচীন অস্ট্রোহাঙ্গেরীয় সাম্রাজ্যের কথা । গত মহাযুদ্ধের পর তা প্ৰায় তাসের ঘরের মত ভেঙে পড়ে। এমন কি ১৯১৪ সালে যখন মহাযুদ্ধ শুরু হয়, তার পরেও ওই সাম্রাজ্যকে হয়ত রক্ষণ করা যেত যদি তায় শাসকরা চেক, সাৰ্ব, ক্রোট, স্লোভিন ইত্যাদির মত অবদমিত জাতিগুলির যুক্তিসঙ্গত