পাতা:কোন পথে? - সুভাষ চন্দ্র বসু.pdf/১৬৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নতুন কুচকাওয়াজ 3étőt কিংবা তা গ্ৰহণ করতেও চায়নি । বর্তমান সঙ্কটের ক্ষেত্রেও ইতিহাসের আরেকবার পুনরাবৃত্তি ঘটতে পারে। কংগ্রেস অধিবেশনের সময় রামগড়ে ১৯শে ও ২০শে জুন যে সারা ভারত আপসবিরোধী সম্মেলনের অনুষ্ঠান হয়, তারপরে কংগ্রেসের সদর কাৰ্যালয়ে কিছুটা তৎপরতা দেখা যায়। একটি সত্যাগ্ৰহ শপথ রচনা করা হয়েছে এবং সমস্ত কংগ্রেস সংগঠনের সব একৃসিকউটিভ কমিটির সদস্যদের সেই শপথ নিতে বাধ্য করা হয়েছে, না নিলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্ৰহণ করা হবে। সম্ভবত আমরা এই শপথ নিতে পারি না এবং তা একাধিক কারণে। প্রথমত, আমাদের সংগ্রাম এয় আগেই শুক হয়ে গেছে। দ্বিতীয়ত, কংগ্রেস ওয়াকিং কমিটি কবে যে ংগ্রাম শুরু করলে এবং শুরু করবে। কিনা, তা জানা যাচ্ছে না। তৃতীয়ত এই শপথ নিলে আমরা সম্পূর্ণভাবে কংগ্রেস ওয়াকিং কমিটির নিয়মশৃঙ্খলার আওতার মধ্যে চলে যাব এবং সে ক্ষেত্রে অন্য কোন সংগঠন বা সংস্থা যদি সংগ্রাম শুরু করে তাহলে সেই সংগ্রামে আমাদের যোগদান করা সম্ভব হবে না । এসব সত্ত্বেও এই উদ্যমকে আমরা সাদরে সমর্থন করছি । অবশ্য যদি তার পরিণাম হয় জাতীয় সংগ্ৰাম । কংগ্রেস সদর দপ্তরে আরেক প্রকার তৎপরতার প্রমাণ আমরা পেয়েছি। কয়েক স্থানে এখন নেতাদের শিবির গড়ে তোলা হচ্ছে এবং নেতারা কুচকাওয়াজে অংশগ্রহণ করছেন। নতুন ধরনের এইসব কুচকাওয়াজের ছবি খবরের কাগজে ছাপা হয়েছে। তা সত্যিই কৌতুকপ্ৰদ । ১৯২০ বা ১৯৩০ বা ১৯৩২ সালে সারা দেশ যখন স্বরাজের জন্য ব্যাপক জাতীয় সংগ্রামের অভিজ্ঞতা অর্জন করেছিল। তখনও এই ধরনের কুচকাওয়াজের কোন ব্যবস্থা হয়নি । এই নতুন কুচকাওয়াজের অভিনবত্ব সবার কাছে আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে। একে সমর্থন করার আরও একটি কারণ এই যে, কংগ্রেস কেবিনেটের পায়তারা কষার নীতিকে এ ছাড়িয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এই “কুচকাওয়াজ” কবে গণসত্যাগ্রহের ব্যাপকতর ক্ষেত্রে সক্রিয় হয়ে উঠবে ? আমাদের এখনকার ভাবনা এই ।