পাতা:কোন পথে? - সুভাষ চন্দ্র বসু.pdf/১৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারত, জাগো ! ১১ই মে, ১৯৪০-এর ফরওয়ার্ড ব্লক-এ স্বাক্ষরিত সম্পাদকীয় { ইওরোপের ঘটনাবলী দ্রুত এক সঙ্কটের দিকে ধেয়ে চলেছে। হল্যাণ্ডে নাৎসী আক্রমণের যে সংবাদ আমাদের কাছে এসে পৌছিয়েছে তা জার্মানির বর্তমান শাসকদের দুর্ধর্ষতার ও স্থির সংকল্পের নিশ্চিত প্ৰমাণ, সেইসঙ্গে স্পষ্ট হয়ে ওঠে কি রকম দ্রুতবেগে তারা কাজ করতে পারে। যুদ্ধ বান্ধবার পর থেকে স্কাণ্ডিনাতিয়ার দেশগুলিতে নাৎসীদের অভিযান ছাড়া আর যা ঘটেছে তাতে আমরা অবাক হইনি। প্রকৃতপক্ষে আমাদের ভবিষ্যৎ কথন অনেকাংশেই বাস্তব ঘটনার দ্বারা সমৰ্থিত হয়েছে। ১৯৩৮-এর অক্টোবরে ইওরোপের আসন্ন যুদ্ধসঙ্কটের কথা আমরা প্ৰকাশ্যে আলোচনা শুরু করি । ১৯৩৯-এর ফেব্রুয়ারি মাসে জলপাইগুড়িতে অনুষ্ঠিত বঙ্গীয় প্ৰাদেশিক কনফারেন্সে সর্বসম্মতিক্রমে যে প্ৰস্তাব গৃহীত হয় তাতে এই চিন্তাই ব্যক্ত হয় এবং ভারতের জাতীয় দাবির প্রশ্নে ব্রিটিশ সরকারের কাছে চরমপত্র দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়। ১৯৩৯-এ মার্চ মাসে ত্রিপুরি কংগ্ৰেসে জলপাইগুড়ি-প্ৰস্তাব উপস্থাপিত করা হয়। কিন্তু তা বিনা ভণিতায় অগ্ৰাহ্য হয়। যদি সেখানে তা গৃহীত হত, সরকারকে তাহলে চরমপত্র দেওয়া হত, জাতীয় সংগ্রামের জন্য প্ৰস্তুতি পুরোদমে শুরু হয়ে যেত এবং নির্ধারিত ছয় মাস অতিবাহিত হওয়ার পরে পরেই জাতীয় সংগ্রাম আরম্ভ হত। কিন্তু এইমত কিছুই হল না । অপরপক্ষে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি বামপন্থীদের বিরুদ্ধে আক্রমণ শুরু করল । এই জেম্বাদ আজও চুলেছে । ত্রিপুরি কংগ্রেসের ছয় মাস পরে ১৯৩৯-এর সেপ্টেম্বরে ইওরোপে যুদ্ধ বাধল। যুদ্ধ বান্ধবার সঙ্গে সঙ্গে অনেক মহলে আশা জেগেছিল, স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রারম্ভিক প্রস্তুতি হিসেবে नश्छे छश्च कद्र् δ Σ.,