পাতা:কোন পথে? - সুভাষ চন্দ্র বসু.pdf/১৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

GR কোন পথে ? হবে। প্রদেশগুলিতে কংগ্রেস মন্ত্রিসভার পদত্যাগ এই আশায় ইন্ধন যোগায়, কিন্তু অচিরেই সে আশা ধূলিসাৎ হয়। ব্রিটিশ সরকারের সঙ্গে সংগ্রাম এড়াবার উদ্দেশ্যে নানাপ্রকার যুক্তির অবতারণা করা হয় । আমাদের পক্ষে আমরা একাধিক কারণে অবিলম্বে সংগ্রাম শুরু করবার জন্য সঙ্গতভাবে অবিরাম দাবি জানাতে থাকি। অন্যতম প্ৰধান বিবেচনার বিষয় ছিল এই যে, ১৯৪০-এর বসন্তকালে যুদ্ধ একটা সঙ্কটাপন্ন অবস্থায় উপনীত হবে এবং আমাদের দিক থেকে খুবই স্বাভাবিক যে, আমরা সে অনুযায়ী আমাদের আন্দোলনের সময় ঠিক করতে চেষ্টা করব। আমরা যদি ১৯৪০-এর বসন্তকালে ভারতেও সঙ্কট আনতে চাইতাম, কয়েক মাস আগে থেকে আমাদের আন্দোলন শুরু করার প্রয়োজন ছিল। কিন্তু আমাদের যুক্তি ও আবেদনে কেউ কৰ্ণপাত করল না । আমাদের বিরুদ্ধে বলা হল যে, ইওরোপের সঙ্কট ১৯৪০-এর এপ্রিলের আগে যখন আসছে না, আমাদের তাড়াহুড়া করে আন্দোলন শুরু করার দরকার নেই । মাসের পর মাস যত কেটে যেতে লাগল আমাদের নেতারা শুধু কথার পর কথা বলে গেলেন এবং তর্কের জাল বুনে চললেন । কাৰ্যকর কিছুই করা হল না এবং ১৯৪০-এর বসন্তকালও এসে গেল। বসন্তের সমাগমে জার্মানদের সামরিক তৎপরতা দুর্ধর্ষ হয়ে দেখা দিল । এক সকালে ডেনমার্ক অধিকৃত হল এবং নরওয়ে আক্রান্ত হল। বিদ্যুৎগতিতে জার্মানি আঘাত হানল। হতচকিত মিত্ৰশক্তি পযুদস্ত হল । এখন হল্যাণ্ড আক্রান্ত হয়েছে এবং সম্ভবত চক্ষের পলকেই অধিকৃত হবে । কেউ জানে না। আরও কত বিস্ময় আমাদের কপালে আছে । ওলন্দাজ অধিকৃত পূর্বভারতীয় দ্বীপপুঞ্জে জাপানীদের * আক্রমণের কথা লোকেরা বলাবলি করছে । মনে হচ্ছে ইটালীয় সেনাবাহিনী লড়াইয়ের জন্য কোমর বাঁধছে--বিশেষ করে যখন ডুচে পালাৎসি ও ভেনিৎসিয়ার অলিন্দ থেকে রণন্থঙ্কার দিয়ে চলেছেন এবং বাইরের জনতা “টিউনিশিয়া, টিউনিশিয়া” বলে চিৎকার করছে। 'নরওয়ের বিপৰ্যয়ের পর লংগুনে মন্ত্রিসভা টলটলোয়মান ।