পাতা:কোন পথে? - সুভাষ চন্দ্র বসু.pdf/১৮০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাংলা, এগিয়ে চল! ১লা জুন, ১৯৪০ ফরওয়ার্ড ব্লক-এ স্বাক্ষরিত সম্পাদকীয়। বাংলার বাইরে সচরাচর কেউ জানে না যে, ইওরোপে যুদ্ধ বান্ধবার পর এই প্রদেশে আপৎকালীন অৰ্ভিনান্স জারী করা হয়েছিল যা কাৰ্যত এখানকার জনজীবনের কণ্ঠরোধ করেছিল। কঠোরতা ও নির্মমতার দিক থেকে বাংলায় যে “অর্ডিনান্স রাজ” প্রবর্তন করা হয়েছিল তার সঙ্গে কংগ্রেস মন্ত্রিমণ্ডলী-শাসিত অন্যান্য প্রদেশের “অর্ডিনান্স রাজে’র বিন্দুমাত্রও তুলনা চলে না। বঙ্গীয় প্রাদেশিক কংগ্রেস কমিটি পাঁচ মাস অপেক্ষা করল। যদি বাংলা সরকার তার মতিগতি বদলায় এবং প্রভাবশালী মহল থেকে বস্তুতপক্ষে তাদের সেইমত পরামর্শও দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু কিছুতেই কিছু হল না। এই পাঁচ মাসের মধ্যে অডিনান্সগুলির প্রতিবাদে আইন অমান্য আন্দোলন শুরু করবার অনুমতি পাবার জন্য কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির কাছে তিনবার আবেদন জানাতে হয়েছিল । জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি বঙ্গীয় প্ৰাদেশিক কংগ্রেস কমিটি ধৈৰ্যের শেষ সীমায় পৌছয় এবং মাস শেষ হবার আগে তারা আইন অমান্য আন্দোলন শুক করবার সিদ্ধাস্ত নেয় । ‘অর্ডিনান্স রাজে”র সবচেয়ে আপত্তিকর দিক হল বাংলা প্রদেশের সর্বত্ৰ সাধারণ সভা, শোভাযাত্ৰা ইত্যাদি নিষিদ্ধ করা । তার ফলে জনজীবন সম্পর্কিতু কাৰ্যকলাপ কাৰ্যত বন্ধ হয়ে যায় । অর্ডিনান্সকে অমান্য করে প্রথম সাধারণ সভা আমি ৩১শে জানুয়ারি আহবান করি কলিকাতার শ্ৰদ্ধানন্দ পার্কে। রাজনীতি-সচেতন বাংলা সেদিন উত্তেজনায় ফেটে পড়ছিল—সবাই ভেবেছিল পাইকারী হারে গ্রেপ্তার করা হবে এবং সরকার বলপ্ৰয়োগ করে আন্দোলন দমন করবে । সেই রকম কিছুই ঘটল না। রহস্যজনক কারণে সরকার নতি